ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ড. জুবায়দুর রহমান

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান। ছবি- সংগৃহীত

দেশের সর্ববৃহৎ শরিয়া ব্যাংক হিসাবে পরিচিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান। সম্প্রতি তাকে ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।  

বুধবার (২৩ জুলাই) পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয় বলে ইসলামী ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কে অধ্যাপক, ইতালির ইউনিভার্সিটি অব বোকোনিতে ভিজিটিং প্রফেসর, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়, আরবানা শ্যাম্পেইন এবং রাশিয়ার মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. জুবায়দুর ঢাকার জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসের (জুমস) প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর। বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রফেসর রহমান উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশসমূহে বিভিন্ন কোম্পানি, সরকারি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন অভিজ্ঞ স্বতন্ত্র উপদেষ্টা। 

তিনি কৌশলগত পরামর্শ এবং পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করে থাকেন। আর্থিক জবাবদিহিতা এবং কর্পোরেট গভর্ন্যান্সবিষয়ক ব্যবস্থাপনায় তার দক্ষতা রয়েছে। তার কাজের কেন্দ্রবিন্দু ছিল প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, যার মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাংকের সদস্য দেশগুলোকে আর্থিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গভর্ন্যান্সের ভিত্তি শক্তিশালী করতে সহায়তা করা।

বিশ্বব্যাংকে থাকাকালীন প্রফেসর রহমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে ‘স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড কোডস ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি কর্মসূচি ডিজাইন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন ড. জুবায়দুর।

এ কার্যক্রমের আওতায় তিনি বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নীতিনির্ধারণী সংলাপে অংশগ্রহণ করেন, বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বাইরের অংশীজনদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।