ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (এমআরআই) দুটি মেশিনের মধ্যে একটি করোনা সময় থেকে বন্ধ, আরেকটি প্রায় তিন মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে একটি বড় সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেলের রেডিওলজি বিভাগে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়- ঢাকা মেডিকেলের পুরাতন ভবনের একটি এমআরআই মেশিন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। নতুন ভবনের আরেকটি এমআরআই মেশিনও টানা তিন মাস ধরে বিকল অবস্থায় আছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রোগীদের এমআরআই করার জন্য এখন বাধ্যতামূলকভাবে বাইরে যেতে হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেলে এমআরআই করতে খরচ হয় আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা; আর বাইরে একই পরীক্ষা করতে খরচ হয় ছয় হাজার থেকে বারো হাজার টাকা।
মো. হান্নান মিয়া নামের এক রোগী জানান, ‘আমি আমার পায়ের হাঁটুর এমআরআই করাতে এসেছি সরকারি হাসপাতালে, কারণ এখানে খরচ ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। বাইরে করলে আমাকে ছয় হাজার থেকে বারো হাজার টাকা খরচ করতে হবে। তাই গত এক মাস ধরে ঢাকা মেডিকেলে ঘুরছি, কিন্তু মেশিন এখনো নষ্ট।” এমনভাবে আরো অনেকেই এমআরআই মেশিন নষ্ট থাকার কারণে বাধ্য হয়ে বাইরে বেশি খরচে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।’
রেডিওলজি বিভাগের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখানে দুইটি এমআরআই মেশিন রয়েছে। পুরাতন ভবনের মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। আরেকটি মেশিন ভালোই চলছিল, কিন্তু হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেলে তিন মাস ধরে কোনো কাজই হচ্ছে না। আমরা পরিচালককে বারবার জানিয়েছি। তিনি বলেছেন- একটি নতুন মেশিন আনার প্রক্রিয়া চলছে এবং পুরাতন মেশিনটি সার্ভিসিংয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানান, ‘এখানে একটি বড় সিন্ডিকেট কাজ করছে যাতে মেশিনগুলো নষ্টই থাকে। কারণ বাইরে এমআরআই করালে মোটা অঙ্কের টাকা তাদের পকেটে যায়। সরকারিভাবে খরচ আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা, কিন্তু বাইরে ছয় থেকে বারো হাজার টাকা লাগে। তারা কি কখনো ভেবে দেখেছে একজন গরিব মানুষ এত টাকা কোথায় পাবে? এজন্যই তো মানুষ সরকারি হাসপাতালে আসে।’
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামানকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন