রাজধানীর মুগদা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে চাঁদনী আক্তার (১৯) নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে পারিবারিক কলহের জেরে কদমতলীর জুরাইন মুরাদপুর এলাকার একটি বাসায় তিনি কীটনাশক পান করেন বলে জানা গেছে। মৃত্যুর মাত্র চার মাস আগে নিজের পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল চাঁদনীর।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। চাঁদনী পটুয়াখালীর সদর উপজেলার কবির মৃধার মেয়ে। রাজধানীর জুরাইনের মুরাদপুরে স্বামী সাব্বিরের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌসী আক্তার জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে মুগদা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে চাঁদনী আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এসআই ফেরদৌসী আক্তার আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, পারিবারিক বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় চাঁদনীর। একপর্যায়ে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন তিনি। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় চাঁদনীকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। বাসায় আসার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে চাঁদনীকে মুগদা মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন চাঁদনীকে।’
নিহত চাঁদনীর বোন সানজিদা আক্তার বলেন, ‘আমার বোন চার মাস আগে সাব্বিরের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে। এরপর থেকে আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেই। আমরা শুনতে পারি, গতকাল আমার বোন কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন