বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেয়েছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। সোমবার (১১ আগস্ট) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ থেকে তিনি জামিন পান।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হন। উত্তরা পূর্ব থানার আজমপুর এলাকায় মিছিল চলাকালে ছোড়া গুলি তার বাম কাঁধে লাগে। পরে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হন তিনি।
এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় ১১ জনকে এজাহারনামী ও ১৫০-২০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন জুবায়ের। মামলায় সন্দেহভাজন আসামিদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার।
এর আগে ৯ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত শমী কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ৫ নভেম্বর রাতে উত্তরা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরদিন অন্য একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ডে পাঠানো হয় এবং তখন থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন।
শমী কায়সার নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও প্রযোজক। তার বাবা শহীদুল্লাহ কায়সার একজন লেখক এবং মা পান্না কায়সার সাবেক সংসদ সদস্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন পান্না কায়সার। সে হিসেবে শমী কায়সার ও রাজনীতিক মাহি বি. চৌধুরী খালাতো ভাই-বোন।
