রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে মাদককারবারি ও গোয়েন্দা কর্মীর ওপর হামলায় জড়িত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় যৌথবাহিনীর এ বিশেষ অভিযান। মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেন।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে ক্যাম্পে শীর্ষ সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। গোয়েন্দা কার্যক্রম চলাকালে তিনি ও তার সহযোগীরা এক গোয়েন্দা কর্মীর ওপর হামলা চালান, এতে ওই কর্মকর্তা মাথায় গুরুতর আঘাত পান। দ্রুত সেনাটহল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কর্মীকে উদ্ধার করে এবং অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে রাত ৮টার দিকে পুনরায় অভিযান চালিয়ে ৫,৬৬০ পিস ইয়াবা, ৫০০ গ্রাম গাঁজা, তিনটি সামুরাই, দুটি চাপাতি, মাদক বিক্রির নগদ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় এবং আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিরা হলেন- মিঠুন (৩২), ইমরান (২৫), বাবু (২৮) ও মিজানুর রহমান (৩১)।
গোয়েন্দা কর্মীর ওপর হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছে, সুজন (২৬), দিপু (২৭), সাকিব (২২), রবিন (২৬), মাসুম (২৬), রমজান (১৬) ও শেখ গোলাম জেলানি (৬৮) যিনি মোহাম্মদপুর থানার সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মোহাম্মদপুরের ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল বলেন, শীর্ষ মাদক কারবারি ও হত্যা মামলার আসামি বুনিয়া সোহেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়, তবে তিনি পালিয়ে যান। আমাদের গোয়েন্দা কর্মী হামলার শিকার হলেও আমরা পরপর দুটি অভিযানে ১১ জনকে আটক করেছি। এর মধ্যে মাদকের সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর হামলার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন