এশিয়ার ‘১০০ টু ওয়াচ ২০২৫’ তালিকায় জায়গা পেয়েছে পাঠাও ফোর্বস। এই তালিকায় এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এবং দ্রুত এগিয়ে চলা কোম্পানিগুলোকে বেছে নেওয়া হয়।
পাঠাও ফোর্বস জানায়, ২০১৫ সালে ছোট একটি ডেলিভারি সেবা দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল মানুষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আজ এক দশক পরে, পাঠাও বাংলাদেশ ও নেপালের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। রাইড, ফুড ডেলিভারি, কুরিয়ার সার্ভিস থেকে শুরু করে আর্থিক সেবা, সবকিছুই মানুষের জীবনকে সহজ ও স্বাধীন করতে সাহায্য করছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি মানুষ পাঠাও ব্যবহার করেছেন এবং প্রায় ৫ লাখ মানুষ পাঠাও-এর মাধ্যমে আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘আমাদের কাছে প্রযুক্তি মানে শুধু অ্যাপ নয়, মানুষের জীবনকে বদলে দেওয়া। যারা প্রতিদিন পাঠাও ব্যবহার করেন, রাইডাররা যারা সম্মানজনক আয় করেন, ব্যবসায়ীরা যারা আমাদের সাথে ব্যবসা বড় করছেন, সবাই এই যাত্রার অংশ। ফোর্বসের এই স্বীকৃতি শুধু পাঠাও-এর জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের ভিশন, পরিশ্রম আর অগ্রগতির প্রতীক।’
পাঠাও ফোর্বস জানায়, ‘দ্বিতীয় দশকে প্রবেশ করার সময়, এই অর্জন আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আরও বড় অনুপ্রেরণা দিয়েছে। গত ১০ বছর আমরা প্রমাণ করেছি যে একটি বাংলাদেশি কোম্পানি বিশ্বে আলাদা পরিচয় তৈরি করতে পারে। আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য হবে আরও দূর এগিয়ে যাওয়ার, পাঠাও পে-এর মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা বাড়ানোর, প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও নতুন সেবা নিয়ে আসার এবং আরও বেশি বৃদ্ধির ও অগ্রগতির সুযোগ তৈরি করা।’
পাঠাও ফোর্বসের সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘ফোর্বস এশিয়ার ১০০ টু ওয়াচ তালিকায় জায়গা পাওয়া এবং পাঠাও-এর ১০ বছর পূর্তি এ দুটোই প্রমাণ করে আমরা কতটা দূর এগিয়েছি, কীভাবে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনছি এবং একটি আরও কানেক্টেড ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি কতটা দৃঢ়।’
তিনি বলেন, ‘ফোর্বসের স্বীকৃতি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়, তবে একই সঙ্গে এটি মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের পথচলা এখনও অনেক বাকি। আমরা ১০ বছরের সাফল্য উদযাপন করছি কৃতজ্ঞতা নিয়ে, এবং সামনে আরও কোটি মানুষের জীবনে সেবা, সংযোগ ও উন্নতির সুযোগ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে, যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০,০০০ রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫,০০,০০০-এরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

 
                             
                                    -20250825154843.webp)
 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন