ঢাকায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাবির ইবনে হাইয়ান (৪র্থ বিজ্ঞান) ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করা ৩০ মিনিট অবস্থান করে। এতে ঢাকা-মহাসড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কোটার নামে অবিচার, চলবেনা চলবেনা’, ‘নবম দশম পরে কর, ইঞ্জিনিয়ার বানান কর’, ‘ডিব্বাদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়।
এ সময় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত আবু সালেহ বলেন, ‘যে দেশ প্রকৌশলীদের মর্যাদা দিতে পারেনা সেই দেশ কখনো উচ্চ শিখরে পৌছাতে পারেনা। গতকাল লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচীতে পুলিশ ন্যাক্কারজনকভাবে আমার ভাইদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের দাবি যদি ইন্টেরিম সরকার মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গতকাল ঢাকায় আমার ভাইদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে আজ মহাসড়ক অবরোধ করেছি। অবিলম্বে আমাদের দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে এবং হামলার বিচার করতে হবে।’
এর আগে, গত সোমবার প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা রংপুর নেসকোর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন। পরে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম হোসেনের কক্ষে সহকারী প্রকৌশলী ও বুয়েটের তড়িৎকৌশল বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামানকে ডেকে নেওয়া হয়।
সে সময় সেখানে উপস্থিত ২০ থেকে ২৫ জন ডিপ্লোমাধারী কর্মকর্তা রোকনকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন এবং হত্যার হুমকি দেন। এর প্রতিবাদে গতকাল ঢাকায় শাহবাগ অবরোধ করেন বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেন তারা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন