শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ১১:৫৬ এএম

রাকসুতে ছাত্রদল প্যানেল থেকে একমাত্র জয়ী কে এই নার্গিস?

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ১১:৫৬ এএম

রাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক পদে বিজয়ী মোসা. নার্গিস আক্তার।

রাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক পদে বিজয়ী মোসা. নার্গিস আক্তার।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেল থেকে মাত্র একজন জয়ী হয়েছেন। তার নাম মোসা. নার্গিস আক্তার। ক্রিয়া সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন।

নার্গিস রাবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৪ সাল থেকে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে খেলছেন নার্গিস। জাতীয় নারী ফুটবল দল ছাড়াও অনূর্ধ্ব–১৪, অনূর্ধ্ব–১৬, অনূর্ধ্ব–১৭ ও অনূর্ধ্ব–১৯ জাতীয় নারী দলের হয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এ ছাড়া বসুন্ধরা কিংস নারী দলের হয়ে খেলেছেন।

নির্বাচিত হওয়ার পর ফেসবুকে এক পোস্টে নার্গিস লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, রাকসুতে আমি ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। এটা আমার জন্য গর্বের, সম্মানের। এখানে শুধু আমি জয়ী হই নাই, জয়ী হয়েছেন আমাকে ভোট দেয়া প্রত্যেকটা ভোটার, জয়ী হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা; যারা দলবল নির্বিশেষে যোগ্যতার মূল্যায়ন করেছেন।’

পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আরো ধন্যবাদ দিতে চাই আমার কাছের কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের যাদের সাপোর্ট আমি শুরু থেকে পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞ, আমি দায়বদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতি। ইনশাল্লাহ আমি আমার কাজ শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

এদিকে নির্বাচিত হওয়ার তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় নার্গিস আক্তার বলেছেন, তিনি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে আনার চেষ্টা করবেন। এর আগে তিনি কয়েকদিন আগে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা পৌঁছে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেন। দিনভর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী হল দিয়ে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।

রাকসু নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন আর ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।

Link copied!