ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে ঘোষিত শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়কে স্বাগত জানিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বেগম রোকেয়া হল, উপাচার্যের বাংলো, বেগম সৈয়দুন্নেসা হল, অপরাজিতা-২৪ হল, এম. মহবুবউজ্জামান একাডেমিক ভবন ও কৃষি অনুষদ এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুণরায় টিএসসিতে এসে শেষ হয়।
মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেন- ‘রশি লাগলে রশি নে-হাসিনার ফাঁসি দে’, ‘শাড়ি লাগলে শাড়ি নে-হাসিনার বিয়ে দে’ ইত্যাদি।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, এই রায় তাদের কাছে শুধুমাত্র একটি বিচারিক সিদ্ধান্ত নয় বরং জুলাই আন্দোলনে নিহত ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ প্রতি ন্যায়বিচারের প্রতীক।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এ রায় শুধু একটি মামলার নয়, জুলাই আন্দোলনে নিহত হাজারো শিক্ষার্থীর প্রতি ন্যায়বিচারের প্রতীক। জুলাই আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। যারা আর ফিরবে না, তাদের পরিবারের জন্য আজকের দিনটি স্বস্তির।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, তা জাতির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। এই রায় সেই শহীদদের প্রতি ন্যায়ের প্রত্যাশা পূরণ করেছে।’
বাংলাদেশ ছাত্রশিবির শেকৃবি শাখার সভাপতি আবুল হাসান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞ, ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করে সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং শাপলা চত্বরে আলেমদের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েছে।
সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে আমাদের দুই হাজারেরও বেশি ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আজকের ফাঁসির রায় সেই শহীদদের আত্মাকে স্বস্তি দিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টেরিয়র গভর্নমেন্টকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করি দ্রুত হাসিনাকে দেশে এনে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।’
আনন্দ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা টিএসসিতে একত্র হয়ে মিষ্টিমুখ করেন এবং রায় ঘোষণার আনন্দ ভাগাভাগি করেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন