রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে সমন্বয়কদের নেতৃত্বে আরও একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে রয়েছেন সাবেক সমন্বয়করা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তাসিন খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে রাজন আল আহমেদ এবং এজিএস পদে রয়েছেন আরেক সাবেক সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলাম।
প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক পদে শীত কুমার ওরাং, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অমিত তঞ্চঙ্গা, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. লাদেন, নারীবিষয়ক সম্পাদক সামসাদ জাহান, সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক নাদিয়া হক মিথি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে সরোয়ার জাহান নাহিদ, সহ-মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক মুনান হাওলাদার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ ত্বোফা এবং সহ-বিজ্ঞান সম্পাদক শরিফুল ইসলাম।
বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন গোপাল রায়, সহ-বিতর্ক সম্পাদক আর রাফি সিরাজী অন্তর, পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা এবং সহ-পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক এস এম রিজন।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ফেরদৌস শরিফ, ইমাম হোসাইন, হাফিজুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মুয়াজ। এ ছাড়া প্যানেল থেকে সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি পদে তাসিন খান, মাহায়ের ইসলাম ও গোপাল রায় নির্বাচন করবেন।
প্যানেল ঘোষণার ব্যাপারে সাবেক সমন্বয়ক ও রাকসুর প্রথম নারী ভিপি প্রার্থী তাসিন খান বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাকসু হবে সকল মত, শ্রেণি ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গঠিত প্রতিশ্রুতি। আমরা চাই, এমন একটি রাকসু, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী বুঝবে তার শিক্ষা শুধু নিজের জন্য নয়, বরং সেইসব বাবা-মা, কৃষক-শ্রমিকের জন্য, যারা এই বিদ্যাপীঠকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমরা চাই, এমন নেতৃত্ব, যা তাদের এই বিনিয়োগকে ফিরিয়ে দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় পেতে চাই, যেখানে গবেষণা সংস্কৃতি ও নেতৃত্ব সাধারণ জনগণের জীবনে পরিবর্তন আনে। দল, মত, মতাদর্শের ঊর্ধ্বে গিয়ে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব। স্বতন্ত্র জায়গা থেকে যারা যোগ্য, তাদের নিয়ে আমরা এই প্যানেল গঠন করার চেষ্টা করেছি। আগামীর ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক আবহ কেমন হবে, সেটা শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে।’
সমন্বয়কদের পৃথক প্যানেলের বিষয়ে তাসিন খান বলেন, ‘এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আমরা একত্রে দাঁড়াব, একসঙ্গে প্রতিবাদ করব। কিন্তু বিষয়টা ভাঙনের না। আমরা যখন রাকসু নিয়ে কাজ করছি তখন এটা তো মতাদর্শিক ভাঙনের জায়গা না। আমরা আলাদা প্যানেল দিয়েছি মানে এই না যে আমাদের মতাদর্শে অমিল রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রাকসু নিয়ে প্রচার-প্রচারণা, ভাবনা—এসবের ভিন্নতার কারণে আমরা আলাদা আলাদাভাবে কাজ করছি। এখানে আমার ভাবনা যেমন সৎ, তেমনি আমার সহযোদ্ধা, বড়ভাইদেরও রাকসু নিয়ে ভাবনা সৎ। কোনো ফাটলের বিষয় না।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন