ঢাকা শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫

সমস্যার শেষ নেই বেরোবির একমাত্র ছাত্রী হলে

বেরোবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
সমস্যার শেষ নেই বেরোবির একমাত্র ছাত্রী হলে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্রীদের একমাত্র আবাসিক হল শহীদ ফেলানী হল (সাবেক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল)। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা এখানে নানা সমস্যায় ভুগলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে ন্যূনতম সুবিধা থাকলেও শহীদ ফেলানী হলে তা আরও সীমিত—যা আবাসিক শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ করছে৷

আবাসিক শিক্ষার্থী আতিকা ঊর্মি বলেন, ৪ সিট ও ৮ সিটের কক্ষের ভাড়া একই হলেও ৮ সিটের কক্ষে একটি বেড দুই শিক্ষার্থীকে ভাগাভাগি করতে হয়। ছোট বিছানায় দুজন মিলে থাকতে হয়, একটি টেবিল-চেয়ারও শেয়ার করতে হয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া রাত সাড়ে ৮টায় গেট বন্ধ করে দেওয়ায় টিউশনি শেষে হলে ফিরতে সমস্যায় পড়তে হয়।

তিনি আরও বলেন, ডাইনিংয়ের খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। পর্যাপ্ত প্লেট, বাটি, গ্লাস নেই। ভর্তুকি দেওয়া হলে ভালো হতো। রিডিং রুম খুব জরুরি প্রয়োজন, বিশেষ করে পরীক্ষার সময় পড়ার জায়গা পাওয়া যায় না।

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মনিসা আক্তার জানান, আমাদের হলে কোনো গেস্ট রুম নেই। বাড়ি থেকে কেউ আসলে বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়, যা অস্বস্তিকর। লাইট-ফ্যান নষ্ট হলেও বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও ঠিক করা হয় না। খাবারের মান খারাপ, অথচ সিট ভাড়াও অন্যদের তুলনায় বেশি।

এছাড়া সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাইরের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নিয়মিত অনুপস্থিতি এবং নষ্ট সরঞ্জাম দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

হল প্রভোস্ট সিফাত রুমানা বলেন, হল তার নীতিমালা অনুযায়ী চলছে। ডাবল করে সবাইকে প্রথমে থাকতে হয় পরে সিংগেল করা হয়। এটা আগে থেকেই হয়ে আসছে। হলের গেট সাড়ে ৮টায় বন্ধ করা হয় নীতিমালা অনুযায়ী।

গেস্ট রুমের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গেস্ট রুম নিচতলায় হল অফিসের সাথে হবে। কাজ চলমান।