রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও হল শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদকের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের ঘটনায় তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি বলেন, একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আজকের ঘটনায় আমার কিছু ব্যবহার ও অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য করা ঠিক হয়নি, এ বিষয়ে আমাকে আরও সংযত ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে দুপুরে শাহ মখদুম হল এবং নবাব আব্দুল লতিফ হলের দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে লতিফ হলের পক্ষ নিয়ে সেখানে যান হল সংসদের জিএস নুরুল ইসলাম শহীদসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
তর্কের একপর্যায়ে জিএস শহীদকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ওই হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত; আমি তো আসতেই পারি। তুই কে? সতর্ক না হলে লতিফ হলের সামনে উল্টা করে ঝুলিয়ে মারব।’’—যা সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দেয়।
ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে শহীদ বলেন, দুপুরে খাবার শেষে তিনি রুমে ছিলেন। জানালা দিয়ে দেখেন শাহ মখদুম হলের সামনে লতিফ হলের দুই আবাসিক শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন ও রাকিব এবং আরও কয়েকজনের মধ্যে তর্কাবিতর্ক চলছে। বিষয়টি বুঝতে তিনি ও আরও কয়েকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে যান।
তিনি দাবি করেন, লতিফ হলের দুই শিক্ষার্থী শাহ মখদুম হলে খেতে গিয়ে ওই হলের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে গালিগালাজ ও হুমকি পান। এতে লতিফ হলের শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়। এ সময় এক শিক্ষার্থী তাদের প্রশ্ন করে কেন তারা সেখানে গেছে। তখন তারা জানান, হলের যে কোনো শিক্ষার্থীর সমস্যা সবার সমস্যা।
জিএস শহীদ বলেন, উত্তেজনাকালীন মুহূর্তে তিনি প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ‘ঝুলিয়ে রাখার’ কথাটি বলেছেন, যা কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে নয় এবং বাস্তবে তা করার কোনো অভিপ্রায়ও ছিল না।
তিনি স্বীকার করেন, “আমার বক্তব্য আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল। আমি ঘটনাটি নিয়ে অনুতপ্ত। একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আরও দায়িত্বশীলভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা প্রয়োজন ছিল।”
তবে তিনি বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার থাকবেন এবং ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ দিয়ে তাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। শেষে তিনি যোগ করেন, তার কথায় বা আচরণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছেন।


