ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

৫ কলেজ শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
অবরোধে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে পাঁচ সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির স্কুলিং মডেলভিত্তিক খসড়া অধ্যাদেশ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ তুলে তারা সড়ক অবরোধ করেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ সকাল থেকেই ঢাকা কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা স্কুলিং মডেল বাতিল এবং উচ্চমাধ্যমিকের স্বতন্ত্র কাঠামো বজায় রাখার দাবি জানান। পরে সব কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে শাহবাগে মিছিল করে অবরোধ শুরু করেন।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম বলেন, স্কুলিং মডেল বাস্তবায়ন হলে পাঁচটি সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তাই আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত এই পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া হবে, আন্দোলন চলবে।

অন্যদিকে, প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ জারির দাবিতে একই দিনে সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নামেন। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ঝুলে থাকার কারণে এবং অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের পরও চূড়ান্ত অগ্রগতি না থাকায় তারা শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে পরিচয় সংকট ও একাডেমিক অনিশ্চয়তা সমাধান করতে হবে।

সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের অর্গানাইজিং উইং শনিবার (৬ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর অনলাইনে মতামত গ্রহণের পর তিন দফা বৈঠক হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এতে প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীর উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কর্মসূচি সম্পর্কে আন্দোলনকারীরা জানান, আজ শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা এবং অধ্যাদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত টানা অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

উল্লেখ্য, ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সাত কলেজকে একীভূত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।