আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ‘রোজার আগেই’ নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। ইসিকে নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবরের মধ্যেই প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গুটিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ডিসেম্বরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ভোটের তারিখ ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার পরিকল্পনা করছে ইসি।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (RPO) সংশোধন, দলীয় আচরণবিধি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। খসড়া অনুযায়ী থাকছে:
‘না ভোট’ ফেরানো
ICT আইনে দণ্ডিত প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা
সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা
জোটবদ্ধ প্রার্থীদেরও দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়া
ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট
এ ছাড়া আচরণবিধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) অপব্যবহার রোধে ধারা যুক্ত করার প্রস্তাবও রয়েছে।
২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখের বেশি। এ সংখ্যা ভোটের আগে বাড়িয়ে প্রায় ১৩ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। এবার প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পোস্টাল ব্যালট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে ইসি, যার জন্য প্রায় ৪৮ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায়।
৩০০ আসনের সীমানার খসড়া ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ১০ আগস্টের মধ্যে আপত্তি গ্রহণের পর তা চূড়ান্ত করা হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা শেষ করতে চায় ইসি। প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রায় ৮ লাখ নির্বাচনি কর্মকর্তা।
ইতিমধ্যে ১৭৪ জন নির্বাচন কর্মকর্তাকে বদলি করেছে ইসি। অভিযোগ আছে এমনদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্বজনপ্রীতি ঠেকাতে একাধিক পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব।