বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

ছড়িয়ে পড়া বেলি ড্যান্সের ভিডিও কি তিশার?

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি- সংগৃহীত

জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি- সংগৃহীত

জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি বেলি ড্যান্স ভিডিও ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই ধরে নেন, এতে দেখা যাওয়া নারীই তিশা।ভিডিওটি আসলে একটি ডিপফেক, যেখানে এআই প্রযুক্তির সাহায্যে একজন ভারতীয় নৃত্যশিল্পীর শরীরে তিশার মুখ বসানো হয়েছে।

রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে যে নারীকে নাচতে দেখা যায়, তিনি নুসরাত ইমরোজ তিশা নন, বরং ঈশিকা সিং রাজপুত নামের এক ভারতীয় বেলি ড্যান্সার। 

নৃত্যশিল্পী ঈশিকা সিং রাজপুত, যার ভিডিও বিকৃত করে তিশার মুখমণ্ডল বসানো হয়েছে। ছবি- সংগৃহীত 

এই নৃত্যশিল্পীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, গত ২৩ মার্চ তিনি এই ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন। একই ব্যাকগ্রাউন্ড এবং একই পোশাকে তাকে আরও একাধিক নৃত্য পরিবেশন করতে দেখা যায় প্রোফাইলে।

দুটি ভিডিওর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পোশাক, অঙ্গভঙ্গি ও নাচের স্টাইল সব কিছুতেই মিল থাকলেও একমাত্র পার্থক্য মুখমণ্ডলে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় ঈশিকা সিং রাজপুতের মুখ পরিবর্তন করে তাতে তিশার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ভিডিওটি যেন তিশার পারফরম্যান্স বলে মনে হয়, অথচ বাস্তবে তা নয়।

ঈশিকা রাজপুতের মূল ভিডিও। ছবি- সংগৃহীত

এ ধরনের ভিডিওকে ডিপফেক বলা হয়। ডিপফেক হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে এআই ব্যবহার করে একজন ব্যক্তির মুখমণ্ডল বা কণ্ঠস্বর অন্য কারোর সঙ্গে এমনভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়, যা দেখতে একেবারে বাস্তব মনে হয়। এর ফলে তৈরি হয় এমন সব ভিডিও ও অডিও, যা সম্পূর্ণ ভুয়া হলেও অনেকের চোখে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।

ডিপফেক প্রযুক্তি বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বিভ্রান্তি, অপপ্রচার ও মানহানি ঘটানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিশার ক্ষেত্রে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে, যা অনভিপ্রেত এবং নিন্দনীয়।

প্রযুক্তির অপব্যবহার করে কোনো ব্যক্তিকে এ রকম উপস্থাপন করাকে অবশ্যই প্রতিরোধ করা দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!