দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান গান গেয়ে এ দেশের লাখো মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। গানের পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয়। তবে গত কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে এ তথ্যকে গুজব হিসেবে আখ্যা দিলেন এই সংগীতশিল্পী।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে দেশীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রাজনীতি ও নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে ছিলেন মনির খান। তবে এখন কোনো পদে নেই।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি বিএনপির ওই পদ থেকে অব্যাহতি নিই। কিন্তু দল ছাড়িনি। আমি বিএনপি ছিলাম, আছি। যে গুজব ছড়ানো হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গত ১০ বছর ধরে আমি এলাকার সবকিছু গুছিয়ে এনেছি। এলাকায় মানুষজন আমাকে পছন্দ করছে। এসব একটি শ্রেণি পছন্দ করতে পারছে না। তাই গুজব ছড়াচ্ছে।’
আসন্ন সংসদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করার ইচ্ছে আছে এই সংগীতশিল্পীর। তিনি বলেন, যদি দল চায়, জনগণ যদি চায়, আমাকে যোগ্য মনে করে, তাহলে অবশ্যই নির্বাচন করব। আমার তেমনই প্রস্তুতি রয়েছে। ভক্তদের বলব, এসব গুজবে কান না দেওয়ার জন্য।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বতর্মানে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। দেশে এখন হত্যার মতো ঘটনাগুলো বেড়ে যাচ্ছে, দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিচ্ছে। অপরাধী যে-ই হোক না কেন, সে কখনোই আইন ও ন্যায়বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।’
মনির খান বলেন, ‘বিএনপি এখন সরকারে নেই। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল বিএনপির মতো বৃহৎ এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলকে এবং দলের প্রধানকে নিয়ে উসকানিমূলক স্লোগান ও বক্তব্য দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত সরকার না থাকলে জনগণের শক্তি কমে যায়, বেড়ে যায় দুর্বৃত্তদের আস্ফালন। জনগণ আশা করে, একটা সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত সরকার নিশ্চয়ই দেশের সবার প্রত্যাশা পূরণ করবে।’