বিতর্কিত ইউটিউব চ্যানেল ‘প্র্যাঙ্ক কিং’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও মালিক আর্থিক সজীব ও অভিনেত্রী শায়লা সাথীর বিরুদ্ধে অনৈতিক ও পেশাগত অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় বইছে। এই বিতর্কে মুখ খুলছেন টিমের বর্তমান ও একাধিক সাবেক সদস্য।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সরব হয়েছেন বর্তমান সদস্য অভিনেত্রী আরোহী মিম, পরিচালক মামুন অর রশিদ, অভিনেতা সিয়াম মৃধা, অভিনেত্রী নাসিমা খানম প্রিমা, অভিনেতা ফারুক আহমেদ, আর্থিক সজীবের ভাগনি এবং সাবেক টিম সদস্য সামিয়া সুলতানা শোভা, অভিনেত্রী সানজিদা আলম, অদ্রিতা তিথি এবং টিমের সাবেক গায়িকা জাকিয়া সুলতানা স্বর্ণলতা।
তাদের অভিযোগে উঠে এসেছে সজীব-সাথীর পরকীয়া প্রেম, টিমে পক্ষপাতিত্ব, ষড়যন্ত্র এবং বিনা কারণে সদস্যদের বাদ দেওয়ার মতো ঘটনা। এ ছাড়া ব্যক্তিগত স্বার্থে অন্য সদস্যদের ক্ষতি করার অভিযোগও রয়েছে।
এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এবার মুখ খুললেন টিমের সাবেক সদস্য ও দর্শকপ্রিয় অভিনেতা তামিম খন্দকার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি প্র্যাঙ্ক কিং-এ অনেক কাজ করেছি। সাথীর সঙ্গেও আমি বেশ কিছু কাজ করে করেছি। অন্য কারো শুটিংয়ে আমি কখনোই সজীব ভাইকে ঢুকতে দেখি নাই। অন্য কারও সঙ্গে আমি শুটিং করলে সজীব ভাই একবার উঁকি দিয়েও খোঁজ নেয় না। কিন্তু সাথীর সঙ্গে কাজ হচ্ছে আমার, এ রকম ৯৫% কাজের শুটিংয়ে সজীব ভাই আসত। পৃথিবীর নরওয়েতে গিয়েও যদি শুটিং করতাম, সেইখানেও সজীব ভাই চলে যেত। প্র্যাঙ্ক কিং-এ থার্ডক্লাস, বস্তি লেভেলের মানসিকতা যদি কারও থাকে সেটা হলো সাথী।’
শায়লা সাথীর প্রভাবে টিমের সদস্যকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমাকে যদি কোনো মেয়ে ২৪ ঘণ্টা বলে ওকে এরকম করলে কেন, ওকে এরকম করে দাও, তাহলে এটা তো আমি করবই। আমি বুঝি না সাথী কেমন। ও কি শেখ হাসিনা? বাবারে বাবা এইসব বিষয়ে সারা জীবন দেখছি রাজনীতির লোকজন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সজিব ভাইয়ের গাড়িতে সাথী যতবার উঠেছে, ততবার সজীব ভাইয়ের স্ত্রীও ওঠে নাই, সোজা বাংলা কথা বললাম। আমি এক সময় সজীব ভাইয়ের গাড়িতে উঠতাম। পরে যখন আমি বুঝলাম এখানে ঘটনা অন্যরকম। সর্বশেষ এক বছর সজীব ভাইয়ের গাড়িতে আমি ওঠা বন্ধ করে দিয়েছি। সজীব-সাথী যেভাবে কথা বলে, এত নিরিবিলি, মনে হচ্ছে চোখের ইশারায় কথা বলছে। খোদার কসম তারা দুইজন যখন একসাথে থাকত তখন আমি সামনে থাকতাম না। প্রথম কারণ, নিজের কাছে লজ্জা লাগত দ্বিতীয় কারণ, মেজাজ খারাপ হতো।’
সর্বশেষ তামিম বলেন, ‘শুটিং সেটে সজীব ভাই ঢুকলে আমি পারি না তার সামনে আসতে। আমার নিজের কাছে একটা ইতস্তত বোধ লাগত। প্র্যাঙ্ক কিং-এ বহুত ক্যাচাল দেখছি, মিটিয়েও দিয়েছি। সকলের বিষয়ে সমাধান করা গেছে। কিন্তু সাথীর ভাবই বোঝা যায় না। সাথীকে ‘ক’ দিয়ে কলিকাতা বোঝালে নগদ খারার উপর ‘ক’ দিয়ে কাউয়া বোঝায় দিবে। সাথী অনেকবার আমাকে তার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছিল, সে চাইছিল তার হয়ে আমি সকলের বিরুদ্ধে যাই, কিন্তু আমি কেন তা করব? কারণ সকলের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। তার এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে এমন কিছু করছে, পরবর্তীতে আমার কাজ কমতে থাকে। যেখানে আমি মাসে তিন-চারটা কাজ করতাম সেখানে আমার কাজ কমিয়ে একটি করে ফেলল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন