ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ১০:০৮ এএম
হিন্দি সিনেমার হ্যান্ডসাম হিরো ধর্মেন্দ্র। ছবি- সংগৃহীত

বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও হিন্দি সিনেমার ‘হ্যান্ডসাম হিরো’ ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বেঁচে থাকলে আগামী ৮ ডিসেম্বর ৯০ ছুঁতেন ‘শোলে’ অভিনেতা

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ধর্মেন্দ্র। এ কারণে প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে অভিনেতাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

এদিন ধর্মেন্দ্রকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান তার চার সন্তান সানি দেওল, ববি দেওল, ঈশা দেওল ও অহনা দেওল। এ ছাড়াও শাহরুখ খান, সালমান খান, গোবিন্দসহ বহু তারকা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হম ভি তেরে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে পা রাখেন ধর্মেন্দ্র। এরপর ‘ফুল অউর পাথর’, আয়ে দিন বাহার কে’ সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ৭০-এর দশকে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষদের একজন হিসেবে উল্লেখ করেছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এই সময়েই তিনি অ্যাকশন হিরো হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন, পান ‘হি-ম্যান অব ইন্ডিয়া’র খেতাব।

তার অভিনীত ‘শোলে’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘সীতা ঔর গীতা’, ‘গুলামী’ এবং ‘তাহালকা’ আজও ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত হয়। নব্বইয়ের দশকে ধর্মেন্দ্র পার্শ্ব চরিত্রে ফিরে আসেন এবং পরবর্তীতে পুত্র সানি ও ববি দেওলের সঙ্গে ‘যমলা পাগলা দিওয়ানা’ ও ‘অপনে’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পান। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে ২০২৪ সালের ‘তেরি বাতোঁ মে আইসা উলঝা জিয়া’ চলচ্চিত্রে।

অভিনয়ের পাশাপাশি ধর্মেন্দ্র কিছু সময় রাজনীতিতেও যুক্ত ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিজেপির হয়ে রাজস্থানের বিকানের আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি।

ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর। এই পরিবারে তার দুই পুত্র সানি ও ববি দেওল। ১৯৮০ সালে তিনি বলিউড অভিনেত্রী হেমা মালিনিকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুই কন্যা ঈশা ও অহনা দেওল।

ভারতীয় সিনেমার সোনালি যুগের প্রতীক ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউডে। চলচ্চিত্রপ্রেমীরা বলছেন, ‘ধর্মেন্দ্র শুধু নায়ক নন, তিনি এক যুগের আবেগ।’