নজরুলসংগীতে অবদানের জন্য দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরার হাতে তুলে দেওয়া হলো আজীবন সম্মাননা। রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ১৯তম চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এর জমকালো আয়োজনে রুনা লায়লার হাত দিয়ে তুলে দেওয়া হয় এই গর্বিত স্বীকৃতি।
১৯ মে রাতের এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সংগীতাঙ্গনের প্রমুখ দিকপাল ব্যক্তিত্ব - সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, নির্মাতা জহিরউদ্দিন মাহমুদ মামুন, শিল্পী রফিকুল আলম, খুরশীদ আলম ও ফেরদৌস ওয়াহিদ।
সঙ্গীতের এই উৎসবে মঞ্চ মাতান শফি মণ্ডল, মিলা, সাগর বাউল, কোনাল, তরিক মৃধা, শারমিন, নুসরাত ইমরোজ তিশা এবং সেরাকণ্ঠ ও খুদে গানরাজের প্রতিযোগীরা।
চলতি বছর ১৯টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বেশ কিছু বিভাগে বিজয়ী নির্ধারণে ইউটিউবের ভিউ ও লাইক সংখ্যার ভিত্তিতে লটারি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
‘আধুনিক গান’-এ শ্রেষ্ঠ শিল্পী নির্বাচিত হন জাকিয়া সুলতানা কর্নিয়া এবং ‘জনপ্রিয় শিল্পী’ বিভাগে লটারিতে বিজয়ী শারমিন রমা। সুরকার বিভাগে পুরস্কার পান মেহেদী, গীতিকার হিসেবে স্বীকৃতি পান লালন লোহানী।
ছায়াছবির গান থেকে শ্রেষ্ঠ শিল্পী হন রিয়াদ - ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার ‘ঈশ্বর’ গানটির জন্য। একই সিনেমার গান থেকে লটারিতে জনপ্রিয় বিভাগে জয়ী বালাম ও কোনাল।
‘ঈশ্বর’ গানের জন্য সুরকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ। আর ‘প্রহেলিকা’ সিনেমার ‘মেঘের নৌকা’ গানের জন্য গীতিকার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন আসিফ ইকবাল।
ব্যান্ড ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ হয়েছে আর্টসেল। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগে সম্মাননা পেয়েছেন সৈয়দ আরিফ আল হক।
দ্বৈত সংগীতে সাব্বির জামান ও আফরোজা রুপা, লোকসংগীতে (পল্লীগীতি ও মরমি) তরিক মৃধা এবং লটারি পদ্ধতিতে জনপ্রিয় লোকসংগীত শিল্পী হয়েছেন সাব্বির নাসির।
চুড়ির তালে নুড়ির মালা’র জন্য শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও নির্মাতা হয়েছেন রেজাউল করিম কাজল এবং একই গানের জন্য ফেরদৌস আরা পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও শিল্পীর পুরস্কারও।
নজরুলসংগীতে সালাউদ্দিন আহমেদ (‘কেন চাঁদিনী রাতে মেঘ আসে’), রবীন্দ্রসংগীতে এ টি এম জাহাঙ্গীর (‘যদি প্রেম দিলে না প্রাণে’) ও নবাগত কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অনিরুদ্ধ শুভ (‘ভাল্লাগে না’) পুরস্কার পান।
শ্রেষ্ঠ অডিও কোম্পানির খেতাব গেছে ‘ধ্রুব মিউজিক স্টেশন’-এর ঝুলিতে।
চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস বরাবরের মতো এবারও প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের সংগীতজগৎ শুধু গানে নয়, সম্মানে-সম্মারোহেও গৌরবান্বিত। আর নজরুলসংগীতের সুরেলা বাতিঘর ফেরদৌস আরার সম্মাননায় যেন সেই আলোকোজ্জ্বলতা ছুঁয়ে গেল চূড়ান্ত এক সুরলোকে।