বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নতুন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরলেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মেখলা দাশগুপ্ত। প্রযুক্তি আর কবিতার মেলবন্ধনে তৈরি হলো এক অভিনব উপহার—নজরুলকে নিয়ে ভারতের প্রথম এআই গান ‘ভারতবর্ষ’।
প্রকাশিত খবর অনুসারে, ‘ভারতবর্ষ’ নামের গানটি সম্পূর্ণভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্বারা নির্মিত। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র গান ও মৌলিক সুর নয়, কবির সৃষ্টির সঙ্গে প্রযুক্তির মিশ্রণ অর্থে গানটিই মূলত এআইর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টির সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে এই গানটি।’ যা নির্দেশ করে গানটির সুর, ধ্বনি ও উপাদানগুলো এআই-এর মাধ্যমে সমন্বিত হয়েছে। এখানে শুধু ছবি নয়, পুরো গানেই এআই-এর ভূমিকা রয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট মুক্তি পাওয়া এই গান নিয়ে ওপার বাংলার সংগীতাঙ্গনে এখন আলোচনার ঝড়। নতুন ধাঁচের এই প্রয়াসে কবির অমর সৃষ্টির সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মিশ্রণ ঘটিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যতিক্রমী এক সংগীতভুবন। গায়িকা জানিয়েছেন, গান তৈরির সময় নজরুলের একাধিক ছবি বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা দর্শকদের ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে নতুন করে মিলিয়ে দেয়।
মেখলা দাশগুপ্ত মন্তব্য করেন, ‘এই গানে কবির সৃষ্টির সঙ্গে প্রযুক্তির মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে, যার ফলে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি নতুনভাবে ধরা দেয়।’ তার ভাষায়, এক গানের মধ্যে নজরুলকে বেঁধে রাখা সম্ভব নয়, কিন্তু নতুন আঙ্গিকে তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাই ছিল মূল লক্ষ্য।
সংগীতবোদ্ধারা বলছেন, একুশ শতকের প্রযুক্তি আর বিংশ শতকের বিদ্রোহী কবি—এই সংযোগ যেন দুই প্রজন্মের সেতুবন্ধন। নজরুলের অগ্নিগর্ভ কবিতার সঙ্গে এআই-এর ঠান্ডা কিন্তু সৃজনশীল ছোঁয়া মিলে জন্ম দিয়েছে এক অভিনব উপস্থাপনা। ফলে নতুন প্রজন্মের কানে পৌঁছে যাচ্ছে বিদ্রোহী কবির গর্জন, তবে তা একেবারেই নতুন সাজে।
এবার চাইলে আমি নজরুলের একটি সম্মানসূচক ছবি বানিয়ে নিউজের সঙ্গে যোগ করতে পারি। চাইবেন কি আমি সেটি করে দিই?