ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

ক্যানোলা তেলের উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
ক্যানোলা গাছের বীজ থেকে ক্যানোলা তেল উৎপন্ন হয়। ছবি- সংগৃহীত

কোনো খাবার সুস্বাদু হওয়ার পেছনে যেমন প্রয়োজন উপযুক্ত রান্না, তেমনি একটি ভালো তেলই হতে পারে সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি। আর এই জায়গায়ই ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে ক্যানোলা তেল। এটি শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, বরং প্রতিটি ফোঁটায় লুকিয়ে আছে হৃদয়ের যত্ন, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং দীর্ঘজীবনের প্রতিশ্রুতি।

ক্যানোলা তেল কী?

ক্যানোলা তেল উৎপন্ন হয় ক্যানোলা গাছের বীজ থেকে, যা রেপসিড গাছের এক বিশেষ জাত।

ক্যানোলা তেলের উপকারিতা

১. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

ক্যানোলা তেল ‘লো স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ হিসেবে পরিচিত, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সহায়ক, ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে।

২. মস্তিষ্ক ও নার্ভের সুরক্ষা

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর ক্যানোলা তেল মস্তিষ্কের গঠন ও স্নায়ু সিস্টেমের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত গ্রহণে স্মৃতিশক্তি উন্নত হতে পারে।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও হালকা ঘনত্ব রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার রোধ করে। ফলে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ও দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না।

৪. উচ্চ তাপমাত্রাতেও নিরাপদ

ক্যানোলা তেলের স্মোক পয়েন্ট তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় এটি দিয়ে ভাজাভুজি বা উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলেও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় না বা ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হয় না।

৫. ডায়াবেটিস ও হরমোন ভারসাম্যে সহায়ক

গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানোলা তেল ইনসুলিন সেনসিটিভিটি উন্নত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ভালো বিকল্প।

৬. চামড়ার যত্নে অবদান

ক্যানোলা তেলে থাকে ভিটামিন ই, যা চামড়ার কোষ পুনর্গঠনে সহায়ক এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ত্বক মসৃণ, কোমল ও প্রাণবন্ত রাখতে এটি সহায়ক।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

প্রতিদিনের সাধারণ রান্না, ভাজাভুজি, গ্রিল কিংবা সালাদের ড্রেসিং হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া হালকা গরম ক্যানোলা তেল দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলেও উপকার মেলে।

সাবধানতা

তেল যেহেতু ক্যালোরি-সমৃদ্ধ, তাই অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলাই উত্তম।