শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম

পৃথিবীর ভয়াবহ সৌর ঝড় সম্পর্কে যা জানাল গবেষকরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম

সৌরঝড়। ছবি: সংগৃহীত

সৌরঝড়। ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়টি ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বে আঘাত হেনেছিল। এই আবিষ্কার মহাজাগতিক আবহাওয়া ও রেডিও কার্বন ডেটিং সম্পর্কিত পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।

ফিনল্যান্ডের ওউলু বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টোরাল গবেষক ড. ক্সেনিয়া গোলুবেঙ্কো ও অধ্যাপক ইলিয়া উসোস্কিন তাদের উদ্ভাবিত নতুন রাসায়নিক জলবায়ু মডেল ‘সোকল: ১৪ সি-এক্স’ ব্যবহার করে এই বিরল সৌর ঘটনা শনাক্ত করেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বের এই ঝড়টি পূর্বে ধারণ করা সবচেয়ে বড় সৌরঝড়, যা ৭৭৫ সালের ঘটনাটির চেয়েও প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি শক্তিশালী ছিল।

ড. গোলুবেঙ্কো বলেন, ‘২০০৫ সালের স্যাটেলাইটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা সবচেয়ে বড় সৌরঝড়ের তুলনায় এই প্রাগৈতিহাসিক ঝড় ছিল প্রায় ৫০০ গুণ বেশি তীব্র।’

এর আগে, কয়েকটি বড় সৌরঝড় শনাক্ত করা হয়েছে—৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ, ৬৬৩ খ্রিষ্টপূর্ব, ৫ হাজার ২৫৯ খ্রিষ্টপূর্ব ও ৭ হাজার ১৭৬ খ্রিষ্টপূর্বে। তবে ১২ হাজার ৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বের ঘটনা হচ্ছে একমাত্র শক্তিশালী সৌরঝড়, যা হলোসিন যুগের বাইরের। হলোসিন যুগ প্রায় ১১ হাজার ৭০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল। এটি শেষ বরফ যুগের শেষ নাগাদ। আবহাওয়া তুলনামূলক উষ্ণ থাকায় এই সময়টিকে আধুনিক মানুষের বিস্তারের যুগ বলে মনে করা হয়।

আধুনিক ও প্রাগৈতিহাসিক জলবায়ু উভয়ই বিশ্লেষণের জন্য ‘সোকল: ১৪ সি-এক্স’ মডেলটি ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্রেঞ্চ আল্পস থেকে উদ্ধার করা প্রায় ১৪ হাজার ৩০০ বছর আগের কাঠের নমুনা বিশ্লেষণ করে ‘সোকল: ১৪ সি-এক্স’ মডেলটি থেকে প্রাপ্ত ফলাফল যাচাই করা হয়।

গবেষক উসোস্কিন বলেন, ‘এই মডেল আমাদের হলোসিন যুগের আগের জলবায়ুতে রেডিও কার্বন বিশ্লেষণের সুযোগ এনে দিয়েছে।’

এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ফ্রান্সের সিরেজ (সিইআরইজিই) প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক এডোয়ার্ড বার্ড। গবেষণায় ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরাও ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর বৃদ্ধির সময় গাছের গুঁড়িতে একটি করে বলয় তৈরি হয়। এই বলয়গুলো গাছের গুঁড়ির মধ্যে চিকন রেখার বলয়ের মতো দেখা যায়। এই বলয় গুণে সেই গাছের বয়স নির্ণয় করা যায়। গাছের বলয়ে সেই বছরের পরিবেশগত তথ্যও জমা থাকে—যেমন তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, এমনকি বায়ুমণ্ডলের রসায়ন।

সৌরঝড় থেকে উৎপাদিত অতিরিক্ত রেডিও কার্বন সে বছর গাছের গুঁড়িতে তৈরি বলয়ে জমা থাকে। বহু বছর পরও বিজ্ঞানীরা সেই বলয় বিশ্লেষণ করে সেই সৌরঝড়ের প্রমাণ পান। একে ‘মিয়াকে ঘটনা’ বলা হয়। এ ঘটনার নামকরণ করা হয়েছে জাপানি গবেষক ফুসাতা মিয়াকের নামে। তিনি প্রথম এমন ঘটনা আবিষ্কার করেন।

তথ্য সূত্র: সায়েন্স এ্যালার্ট 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!