ডিপফেইকসহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ভিডিও শনাক্ত করা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। শুধু মুখভঙ্গি, চোখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ডে অদ্ভুত ছায়া দেখেই এসব ভিডিও শনাক্ত করা এখন আর যথেষ্ট নয়।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট MakeUseOf এক প্রতিবেদনে জানায়, অনেক এআই ভিডিও এমনভাবে তৈরি হয় যা এক নজরে সত্য বলেই মনে হয়। তাই শুধুমাত্র ভিজ্যুয়াল বৈসাদৃশ্য পর্যবেক্ষণ করেই ভুয়া ভিডিও শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
তবে আশার খবর হলো—বর্তমানে কিছু কার্যকর অনলাইন টুল রয়েছে, যেগুলোর সাহায্যে সহজেই ডিপফেইক ও এআই-নির্ভর ভিডিও শনাক্ত করা সম্ভব। নিচে উল্লেখ করা হলো এমন তিনটি জনপ্রিয় টুল:
১. Deepware
এটি একটি বিনামূল্যে টুল, যা এআই-নির্মিত ভিডিও দ্রুত বিশ্লেষণ করে ফলাফল জানায়।
ব্যবহারবিধি:
deepware.ai ওয়েবসাইটে যান।
‘Go to Scanner’ অপশনে ক্লিক করুন।
আপনার ভিডিও আপলোড করুন বা ভিডিওর ইউআরএল দিন।
কিছু সময় পর স্ক্যানের ফলাফল ও বিশ্লেষণ দেখতে পাবেন।
২. Attestiv.video
এই টুলে বিনামূল্যে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫টি ভিডিও পরীক্ষা করা যায় (প্রিমিয়াম সংস্করণও রয়েছে)।
একবারে ২ মিনিটের বেশি দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করা যায় না।
ব্যবহারবিধি:
attestiv.video ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
ভিডিও ফাইল বা লিংক আপলোড করুন।
সিস্টেম স্ক্যান করে একটি "Suspicion Rating" দেয়—উচ্চ স্কোর মানে ভিডিওটি এআই-জেনারেটেড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, কম স্কোর মানে ভিডিওটি অধিকতর নির্ভরযোগ্য।
৩. InVID
এটি কোনো ওয়েবসাইট নয়, বরং একটি ব্রাউজার এক্সটেনশন।
ডিপফেইক শনাক্তকরণে সরাসরি কাজ না করলেও ভিডিওর ফ্রেম বিশ্লেষণ করে মূল চরিত্র ও দৃশ্য আলাদা করে দেখায়, যা যাচাই প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।
এই প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া ভিডিও ছড়ানো সহজ হয়ে পড়েছে। তাই যেকোনো আলোচিত বা সন্দেহজনক ভিডিও চোখে পড়লে যাচাই ছাড়া শেয়ার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনার মতামত লিখুন :