ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

এক প্ল্যাটফর্মে সবকিছু: গ্রামীণফোনের ‘ওয়ান’ সেবা চালু

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গ্রাহক-কেন্দ্রিকতা ও ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’ নামে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন।

রাজধানীর লো মেরিডিয়ান হোটেলে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

‘গ্রামীণফোন ওয়ান’ হলো একটি সমন্বিত ডিজিটাল ইকোসিস্টেম, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা পাবেন এক প্ল্যাটফর্মেই বিনোদন, সুরক্ষা ও গেমিংসহ নানা উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা। এর আওতায় চালু করা হয়েছে তিনটি বিশেষ সেবা বায়োস্কোপ প্লাস, ওয়ান গেমস এবং জিপি শিল্ড।

বায়োস্কোপ প্লাস: দেশে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এই অ্যাগ্রিগেটর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকরা চরকি, হইচইসহ আরও ৯টি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন এক জায়গা থেকেই।

ওয়ান গেমস: পাঁচ হাজারের বেশি অনলাইন গেম নিয়ে চালু হয়েছে এই গেমিং প্ল্যাটফর্ম ইন্টিগ্রেটর। গেমপ্রেমীদের জন্য এটি হবে একটি আকর্ষণীয় সংযোজন।

জিপি শিল্ড: ম্যালওয়্যার ও অন্যান্য অনলাইন ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দিতে চালু করা হয়েছে জিপি শিল্ড। এটি গ্রাহকদের ডিজিটাল গেটওয়ে সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। 

তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোন ওয়ান ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে একটি মাইলফলক। জিপি শিল্ডের মতো সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনায় আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’ তরুণদের দ্রুত, নিরাপদ ও কার্যকর সংযোগের মাধ্যমে ক্ষমতায়নের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হবে।’

এছাড়াও অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন সিএমও ফারহা নাজ জামান, সিপিও সোলায়মান আলম, সিবিও ড. আসিফ নাইমুর রশিদ এবং করপোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রধান তানভীর মোহাম্মদ।

গ্রামীণফোন জানায়, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টেলিকম সেবার গণ্ডি ছাড়িয়ে একটি ভবিষ্যতমুখী টেলকো-টেক কোম্পানিতে রূপান্তর হচ্ছে তারা। ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’ শুধু একটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নয়, বরং এটি পরবর্তী প্রজন্মের পাশে দাঁড়ানোর এক প্রতিশ্রুতি।