বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম

প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে সাংবাদিকই সেরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম

প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে সাংবাদিকই সেরা

সমীক্ষা বলছে, অন্য যে কোনো পেশার মানুষের চেয়ে সাংবাদিকরা প্রেমিক বা প্রেমিকা হিসেবে অনেক এগিয়ে। ছবি: সংগৃহীত

যাদের স্বামী বা স্ত্রী সাংবাদিক অথবা গণমাধ্যমকর্মী, তাদের মুখে প্রায়শই এই কথা শোনা যায়, ‘সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার বড় জ্বালা!’ 

তাছাড়া সাংবাদিক মাত্রই নাকি হামবড়িয়া ভাব থাকে। সবসময় জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করে।

ফলে সাংবাদিকের স্বামী বা স্ত্রী সবসময় অন্যকে বলেন, ‘যে কোন পেশার মানুষকে বিয়ে কর, তবে সাংবাদিক নয়।’

তবে প্রেমিক প্রেমিকা হিসেবে সাংবাদিকরাই সেরা!

সমীক্ষাও বলছে, অন্য যে কোনো পেশার মানুষের চেয়ে সাংবাদিকরা প্রেমিক বা প্রেমিকা হিসেবে অনেক এগিয়ে।

 

কারণ পেশার খাতিরে সাংবাদিকদের নানা সময় নানা জায়গায় যেতে হয়। তাই রাস্তাঘাট থাকে তাদের নখদর্পণে।

তাছাড়া কোনো জায়গার ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তাদের ঠোঁটস্থ থাকে উত্তর।

তার উপর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মিশে কোথায় কী বলতে হবে, কোথায় কীভাবে থাকতে হবে, তা নিয়ে সম্যক ধারণা তৈরি হয়ে যায়।

ফলে যেখানেই আপনি তাকে নিয়ে যান না কেন, অস্বস্তিতে তো পড়বেনই না, বরং সাংবাদিক সঙ্গী থাকলে আপনার মর্যাদাও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।

সাংবাদিকরা সেরা হওয়ার দশ কারণ :

১/ পেশার খাতিরে সাংবাদিকরা এমনিতেই চরকার মতো ঘুরতে থাকেন। তাই শহরের অলিগলিতে কোথায় কী আছে- সবই তাদের নখদর্পণে। আর এ কারণেই তাদের সঙ্গে প্রেম মানে জীবনে আনন্দের আর ফুর্তির প্রাচুর্য।

২/ সাংবাদিকরা সচরাচর এতোটাই কম বেতন পান যে টাকা বিষয়ে তাদের মোহ ব্যাপারটা তৈরি হয় না। ভেবে দেখুন, টাকার প্রতি বিশেষ আকর্ষণ নেই এমন প্রেমিক বা প্রেমিকা কি সহজে মেলে?

৩/ পেশার জন্য সাংবাদিকরা সর্বদাই ব্যস্ত। তাদের সঙ্গে প্রেম করলে আপনার ব্যক্তিগত সময়ের বিশেষ অভাব হবে না। কারণ আপনার নিজস্ব সময়ে নাক গলানোর সময়টাই যে তাদের বিশেষ নেই।

৪/ সাংবাদিকরা অনেকটা কাঁঠালি কলার মতো। চাই বা না চাই কয়েক গুচ্ছ কাজ তাদের শিখে রাখতেই হয়, যাকে বলে ‘বাই ডি ফল্ট মাল্টিটাস্কিং’। এক সঙ্গে অনেক কাজ তাদের অভ্যাস হয়ে যায়। বাড়িতে এমন একজন মাল্টিটাস্কিং পার্টনার কে না চায় বলুন?

৫/ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলুন। দেখবেন, জানা থাকুক বা না থাকুক আলপিন থেকে আলাস্কা, সব কিছু নিয়েই তারা নাতি দীর্ঘ বক্তব্য দিতে পারেন। ফলে যখন কোনো কাজ থাকবে না, একঘেয়ে লাগবে। তাদের সঙ্গে আরামে বকবক করতে পারেন।

৬/ খবর সন্ধানের তাগিদে এর, ওর, তার থেকে এতো এটা, ওটা, সেটা শুনতে হয়, সাংবাদিকরা আপসেই ভাল শ্রোতা হয়ে ওঠেন। প্রেমিক বা প্রেমিকা যদি ভাল শ্রোতা হল, তার থেকে ভাল আর কী-ই বা হতে পারে?

৭/ পেশার খাতিরেই বিশ্বাসী হয়ে থাকেন সাংবাদিকরা। সংবাদের জন্য অনেক লোকজনের কাছে যেতে হয় তাদের। সংবাদ উৎসের পরিচয় গোপন রাখতে হয়। আর এ কারণেই বিশ্বাসী আর সহায়তাপ্রবণ হয় সাংবাদিকরা। জীবনে এমন একজন মানুষ কে না চায়?

৮/ এমনিতেই তাদের এমন গাধার খাটুনি খাটতে হয়। সাংবাদিকরা ইচ্ছা-অনিচ্ছার উর্ধ্বে গিয়ে বাই ডি ফল্ট কঠোর পরিশ্রমী হয়ে ওঠেন। সঙ্গী বা সঙ্গিনী পরিশ্রমী হওয়া যে কারো পক্ষেই অত্যন্ত সুখকর।

৯/ সাধারণত সাংবাদিকরা বেশ সৃজনশীল হন। নিজের পেশা ছাড়াও আরো অনেক কিছুতেই পারদর্শী হন। পার্টনার যদি সৃজনশীল হন, তা হলে গর্বে বুকের ছাতি ইঞ্চি খানেক বাড়ে বৈকি!

১০/ সারাটা দিন এর ওর সঙ্গে খেজুরে ভদ্রতা করতে গিয়ে এমন হাসিটা দিতে হয়, সেই হাসিটাই সাংবাদিকদের কেমন অভ্যাস হয়ে যায়। হাসি খুশি প্রেমিক বা প্রেমিকা কে না চায়?

আরবি/ফিজ

Link copied!