ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে প্রতারণা

লোহাগাড়ায় ৪ প্রতারক কারাগারে, সাড়ে ৪ লাখ টাকা উদ্ধার

লোহাগড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্রথমে তারা ফেরিওয়ালার বেশে এলাকায় ঢোকে। তারপর কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। খোঁজ করে বিদেশগামী যাত্রীদের। এরপর নিজেদের কাছে সৌদি রিয়াল, ইউরো, মার্কিন ডলারসহ নানা বৈদেশিক মুদ্রা আছে বলে জানায়। এরপর বৈদেশিক মুদ্রা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে হাতিয়ে নেয় টাকা।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এমন এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যরা হলেন- ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার সদরদী এলাকার মো. সরোয়ার (৫৪), সোহেল বেগ (৩০), কামাল শেখ (৩৪) ও শওকত খান (৬০)।

বুধবার (১ জানুয়ারী) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পুরাতন বিওসি গোলাম আলী সিকদার পাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লোহাগাড়া থানা পুলিশ জানায়, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর এলাকার তৌহিদুর রহমান (৪২) নামের একজনের পরিবারের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় গড়ে তোলেন ছদ্মবেশী ফেরিওয়ালা মো. সরোয়ার। তৌহিদের মা-বাবা দুজনেই ওমরাহ করতে সৌদি আরবে যাবেন- এ কথা জানার পর সরোয়ার জানান, তার কাছে সৌদি রিয়াল আছে। বাংলাদেশি টাকার বিনিময়ে সৌদি রিয়াল দেবেন বলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তৌহিদকে লোহাগাড়ার আমিরাবাদ স্টেশনে ডেকে আনেন সারোয়ার। এরপর তৌহিদের কাছ থেকে কৌশলে পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়েন তিনি।

এ প্রসঙ্গে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনার পরপরই তৌহিদুর রহমান থানা পুলিশের কাছে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি অভিযোগ করেন। তারপর সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে প্রতারকদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তৌহিদ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত চারজনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামীয় আরও তিন জনকে আসামি করে লোহাগাড়া থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। এ প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।