সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সচিবরা জানিয়েছেন, এই দাবির বিষয়টি আগামীকাল বুধবার (২৮ মে) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে উপস্থাপন করা হবে। এরপর সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। বৈঠকে আরও ছয়জন সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘কর্মচারীদের দাবিসংক্রান্ত বিষয়গুলো মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানানো হবে। সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।’
এদিকে, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর বলেন, ‘বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন। তাই আমরা আপাতত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি না। আগামীকাল বুধবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।’
সভা সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অংশ নেওয়া সচিবরা সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে একমত হয়েছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পরামর্শ দেবেন। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
এর আগে সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ জরুরি বৈঠক করেন কয়েকজন সচিবকে নিয়ে। ওই বৈঠকে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয় এবং কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয় ভূমি সচিবকে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সরকার সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করে। এর প্রতিবাদে গত শনিবার থেকেই সচিবালয়ে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আপনার মতামত লিখুন :