ঢাকার খিলক্ষেতে শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির ও প্রতিমা ধ্বংস এবং লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু ব্যক্তিদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, ‘ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুলডোজার দিয়ে শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির ও প্রতিমা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, পাশাপাশি পূজার আসবাব ও প্রতিমা ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, যা চরম অসম্মানজনক ও সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।’
একই সঙ্গে লালমনিরহাটে পরেশ চন্দ্র শীল ও বিষ্ণুপদ শীলের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা ধর্ম অবমাননার মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়, যা ভয়াবহ বিচারবহির্ভূত আচরণের উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম স্বৈরাচার পতনের পর দেশে ধর্মীয় বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধি উপদেষ্টা পরিষদে নেই, সংস্কার কমিটিগুলোতেও তাদের স্থান হয়নি।’
তারা অভিযোগ করেন, সরকার একতরফাভাবে সংখ্যালঘুদের উপেক্ষা করছে, যা সংবিধানের আত্মাকে অমান্য করে।
বক্তারা দাবি করেন, ‘রেল উপদেষ্টার পদত্যাগ ও তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা করতে হবে। খিলক্ষেতের মন্দির ধ্বংস ও লালমনিরহাটে হামলার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, যুগ্ম মহাসচিব ডা. হেমন্ত দাস, যুব মহাজোট সভাপতি গৌতম সরকার অপু, ছাত্র মহাজোট সভাপতি সজীব কুন্ডু তপু, সাধারণ সম্পাদক নিলয় পাল আদর প্রমুখ।