সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম

রূপালী বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশের পর সুব্রতের পড়ালেখার দায়িত্ব নিল ‘প্রভাতের হাসি’

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম

মেধাবী শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার কুন্ডু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মেধাবী শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার কুন্ডু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ফরিদপুরের সালথার মেধাবী শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার কুন্ডুর পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রভাতের হাসি’। সংগঠনটির সহযোগিতায় পাশে দাঁড়িয়েছেন এর উপদেষ্টা ওয়ান গ্রুপের পরিচালক ও বিজিএমইএ’-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোমান মিয়া।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ পিনু বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বল্লভদী ইউনিয়নে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। সুব্রতের অসাধারণ সাফল্য এবং তার পরিবারের আর্থিক সংকট আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তাই ভর্তি, বই-খাতা ও লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ আমরা বহন করব ইনশাআল্লাহ। এই কাজে রোমান মিয়া সার্বিক সহযোগিতা করবেন।’

উল্লেখ্য, গত ১১ জুন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় সুব্রতকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপরই সুব্রতের পাশে দাঁড়ায় ‘প্রভাতের হাসি’।

সুব্রত কুমার কুন্ডু ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বিষ্ণুদি গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা সুধীর কুন্ডু একজন ক্ষুদ্র মুদি দোকানদার এবং মা গৃহিণী। তিন ভাইবোনের মধ্যে সুব্রত দ্বিতীয়। চরম দারিদ্র্যের মধ্যেও পড়ালেখার প্রতি ভালোবাসা তাকে এগিয়ে রেখেছে।

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় সে ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে অংশ নেয়। বিদ্যালয়ের পাশের হার যেখানে মাত্র ৩৩.৩৩ শতাংশ, সেখানে সুব্রতের জিপিএ-৫ অর্জন সবাইকে চমকে দেয়। পরীক্ষার আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়েও মায়ের ভালোবাসা ও বাবার সাহসে সে পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং কৃতিত্ব অর্জন করে।

সুব্রতের মা-বাবার একটাই আকুতি ছিল, ‘যদি কেউ এই মেধাবী ছেলেটার পাশে দাঁড়াত, সে দেশের জন্য কিছু করতে পারত।’

সেই আকুতির জবাব দিয়েছে ‘প্রভাতের হাসি’ ও ওয়ান গ্রুপ। এমন মানবিক উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সমাজের অন্য বিত্তবান ও প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।

Shera Lather
Link copied!