ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

বিমান দুর্ঘটনা

দগ্ধদের চিকিৎসায় রক্ত ও স্কিনের প্রয়োজন নেই: বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক

মেডিকেল প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসায় রক্ত বা স্কিন ডোনেশনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে ইনস্টিটিউটে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘বর্তমানে ইনস্টিটিউটে রক্তের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। স্কিন ডোনেশনেরও প্রয়োজন পড়েনি। বাংলাদেশ সরকার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অর্থ ও লজিস্টিক সাপোর্ট সরবরাহ করছে।’

তিনি আরও জানান, বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন, যার মধ্যে ৮ জন আইসিইউতে এবং ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নতির কারণে ২ জনকে আইসিইউ থেকে ইন্টারমিডিয়েট কেয়ারে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩ জন রোগীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. নাসির জানান, এখন পর্যন্ত মোট ১৪ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ১৩ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং ১ জন ঢামেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা এসে গেছেন, চীনের চিকিৎসকদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে। তারা সরাসরি যুক্ত হতে প্রস্তুত।’

জনগণের অর্থ সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকে বিকাশ বা নগদে সহায়তা পাঠাতে চাচ্ছেন। আমরা তাদের সদিচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তবে সাধারণ জনগণের অর্থ সহায়তা এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই। সরকার পর্যাপ্ত সহায়তা দিচ্ছে।’

পরিশেষে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো দেশ চিকিৎসা সহায়তায় আগ্রহ প্রকাশ করলে আমরা স্বাগত জানাব। এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো সম্মিলিতভাবে সেরা চিকিৎসা নিশ্চিত করা।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল, যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়।