ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হঠাৎ জরুরি ফায়ার অ্যালার্ম বাজায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই উপস্থিত সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে একাডেমি ভবন থেকে বের হয়ে আসেন।
এর আগে সকাল থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২০তম দিন চলছিল। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বৈঠকে আলোচনার জন্য প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
তবে বৈঠকের শুরুতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, ‘তারা আলোচনায় অংশ নেবেন না।’
জানা গেছে, সংবিধিবদ্ধ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে বিএনপি আগেই একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। আজ সেই প্রস্তাব আবার আলোচনায় আনা হলে বিএনপি বৈঠক থেকে সাময়িকভাবে ওয়াকআউট করে। তবে কিছুক্ষণ পর তারা পুনরায় সংলাপে যোগ দেয়।
এরও আগে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার অভিযোগ এনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করে সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদ। এ তিন দল ১০ মিনিটের জন্য ‘প্রতীকী ওয়াকআউট’ করে।
বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টার পর ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে এ ঘটনা ঘটে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সঞ্চালক হিসেবে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজকে কথা বলার অনুরোধ করেন। এরপর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য দেন। বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে তিন দলের নেতারা আবারও সংলাপে যোগ দেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে স্বৈরাচারী শাসকরা যে ধরনের কাজগুলো করত, তারই ছায়া আমরা দেখতে পাচ্ছি। স্বৈরাচারে যারা ছিল, তারা এখানে নানা সংকট এবং ষড়যন্ত্র করবে, সেটা আমরা জানি। তিনি বলেন, ঐকমত্যের আলোচনা জরুরি হলেও ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। এ ঘটনার প্রতিবাদ করা ছাড়া এখানে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য ১০ মিনিটের জন্য থাকতে চাই না।
আপনার মতামত লিখুন :