শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম

আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক এড়াতে পেরেছি: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি- সংগৃহীত

আজ আমরা সম্ভাব্য ৩৫% পাল্টা শুল্ক এড়াতে পেরেছি। এটি আমাদের পোশাক খাত ও লাখও শ্রমিকের জন্য সুখবর। পাশাপাশি, আমরা আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার অবস্থান ধরে রেখেছি এবং বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

 বিবৃতিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আমরা খুব হিসাব-নিকাশ করে আলোচনা করেছি, যাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আমাদের পোশাক খাতকে রক্ষা করা ছিল শীর্ষ অগ্রাধিকার, একই সঙ্গে আমরা মার্কিন কৃষিপণ্য কেনার অঙ্গীকার করেছি, যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি-নির্ভর অঙ্গরাজ্যগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩১ জুলাই) ৭০টি দেশের আমদানি পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৪১% পর্যন্ত নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার ১ আগস্টের শেষ সময়সীমার ঠিক আগেই এসেছে। এই চুক্তিগুলো শুধু শুল্ক হ্রাসেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এমন কিছু অভ্যন্তরীণ নীতির সংস্কারকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের মতে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার জন্য দায়ী। একইসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলোকেও চুক্তির আওতায় আনা হয়েছে। আলোচনার অংশ হিসেবে, প্রতিটি দেশকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য কেনার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার করতে হয়েছে, যাতে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যায়।

ড. খলিলুর রহমান বলেন, এই বহুমুখী আলোচনার প্রক্রিয়াটি ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। শুল্ক থেকে ছাড় পেতে হলে শুধু মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমানোই নয়, বরং অ-শুল্ক প্রতিবন্ধকতা, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ দূরীকরণে মার্কিন অবস্থান মেনে চলার সদিচ্ছাও থাকতে হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, প্রতিটি দেশের ওপর আরোপিত শুল্কহার নির্ধারিত হয়েছে তাদের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০% শুল্কহার অর্জন করেছে, যা এর প্রধান প্রতিযোগী দেশ যেমন শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার (১৯% থেকে ২০%) সঙ্গে প্রায় সমান। ফলে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের তুলনামূলক প্রতিযোগিতার অবস্থান অপরিবর্তিত থাকছে। এর বিপরীতে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ২৫% শুল্কের মুখে পড়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!