স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) হিমাগার পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা জানান। তিনি পরিদর্শনকালে হিমাগারের অবস্থা, সরঞ্জামের নিরাপত্তা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়েও খোঁজখবর নেন।
অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, আজও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিদিনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র জব্দ করছে। আমরা আশা করছি, নির্বাচনের আগে প্রায় সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারব। শুধু নির্বাচনের সময় নয়, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে অন্য সময়ও কোনো অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ না করতে পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশের একটি প্রবণতা দেখা যায়। আমরা সেই প্রবণতা প্রতিরোধের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। দেশের জনগণ ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোর সচেতনতা বিষয়েও নজরদারি চলমান।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। চিফ এডভাইজরের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা নির্বাচন পরিচালনার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আল্লাহ দান করলে ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো ধরনের অসুবিধা ছাড়াই নির্বাচন সম্ভব হবে। জনগণ যখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন সব প্রপাগান্ডা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য কার্যকর হবার সুযোগ পাবে না। জনগণই হবে প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী।
সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে। বর্ডার বেল্টের মানুষও অত্যন্ত সচেতন। সীমান্ত রক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের স্থাপনকৃত চেকপোস্ট এবং নজরদারি ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। এসব পদক্ষেপ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপে চোখ বন্ধ রাখবে না। নির্বাচনের সময়ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, যাতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়।