শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কিছুক্ষণ পর শুরু হবে ভোট গণনা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথে জাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৩ জন, যার মধ্যে ৫ হাজার ৭২৮ জন ছাত্রী এবং ৬ হাজার ১৫ জন ছাত্র।
জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন।
রূপালী বাংলাদেশের প্রতিবেদকরা জানান, বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপরই বেশিরভাগ কেন্দ্রের গেট বন্ধ করতে দেখা যায়।
তবে এর আগে, বিকেল ৪টার দিকে এসে কারচুপিসহ নানা অনিয়মের কথা তোলে ভোট বর্জন করে ছাত্রদল প্যানেল। ছাত্রদলের সাদী, বৈশাখী, ইকরা ও সাজ্জাদ প্যানেলের পক্ষ থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণার পাশাপাশি ৯টি অসঙ্গতির কথাও তুলে ধরা হয়।
পাশাপাশি বামপন্থি ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন সমর্থিত প্যানেলও নির্বাচন কমিশন ও ভোট কার্যক্রমে অনাস্থা জানিয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
শিবিরের প্যানেল থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীরা ক্যাম্পাসের আশপাশে অবস্থান নিয়েছে। এতে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে প্যানেলটির নেতাকর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, নির্বাচনের নানা অব্যবস্থাপনার ঘটনায় ভোট গ্রহণের শেষদিকে এসে বিএনপিপন্থি শিক্ষকরাও নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এসব ঘটনায় পরে ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।