শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম

ভারতীয় ইউটিউব ধাঁচের মিডিয়া গুজব প্রচার করছে: গোবিন্দ চন্দ্র

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম

ভারতীয় ইউটিউব ধাঁচের মিডিয়া গুজব প্রচার করছে: গোবিন্দ চন্দ্র

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন ভারতে কিছু মোবাইল এবং ইউটিউব ধাঁচের মিডিয়া আছে, যারা চায় ভিউ বাড়াতে। তারা বিভিন্নভাবে অসত্য সংবাদ ও নানা গুজব প্রচার করে ও করছে। আর ওইখানকার যারা রাজনীতিবিদ, তারা এগুলো লুফে নিচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে কাজে লাগাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক টিভি চ্যানেল ও সংবাদমাধ্যম রয়েছে। কখনো আপনারা শুনেছেন,  বাংলাদেশর কোনো মিডিয়া নিয়ে ভারতের রিপাবলিক বাংলার মতো। সেখানকার একটি গণমাধ্যম, যার সংবাদকে কেন্দ্র করে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের কোন গণমাধ্যমকে নিয়ে কখনো কিন্তু এমন হয়নি। এমনকি ভারতও বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যমকে নিয়ে এমন ভিডিও করেনি। কারণ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের নীতি-আর্দশ আছে। তাদের সেটা নেই। যেনতেন প্রকারে ভিউ বাড়ানো মূল উদ্দেশ্য তাদের।

একই সঙ্গে দেখবেন, পশ্চিম বঙ্গের একজন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তিলকে তাল বানিয়ে হিন্দুদের খেপিয়ে, ভোটের রাজনীতির লক্ষ্যে মুসলিমবিদ্বেস ছড়িয়ে ফয়দা লুটছেন। আর কিছুই নয়। ইতিমধ্যে তাকে দিল্লি থেকে সচেতন করা হলেও তার নিজস্ব ফয়দা লুটতে এগুলো করে যাচ্ছেন।  

তিনি রূপালী বাংলাদেশকে আরো বলেন, শুভেন্দু অধিকারী ভারতের কোনো কর্তাব্যক্তি নন। তার কথার গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেয়। তিনি ইচ্ছা করলেও বাংলাদেশে ময়লা ফেলার ক্ষমতা তার নেই। ওখানকার কিছু লোকের স্বভাবই এমন। তাদের কথায় কর্ণপাতের কোনো কারণ নেই।

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথ্য কোথা থেকে পান! দূতাবাসে যারা নিযুক্ত, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধির কাছ থেকেই তো। বিষয় হচ্ছে, এখান থেকে যারা রিপোর্টিং করে, তারা যথার্থ রিপোর্ট করে না। তারা বায়াস হয়ে রিপোট করে।  আমি যতবার দিল্লিতে গিয়েছি, কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী এমনকি নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, যেভাবেই হোক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতেই হবে, তা না হলে আমাদের সেভেন সিস্টার থাকবে না। আমি স্পষ্ট করে তাদের বলেছি, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা, এই নাবালকসুলভ বাক্য পেলেন কোথায় আপনারা? বাংলাদেশিদের খেয়ে কাজ আছে। তারা দেশের উন্নয়নে দিন-রাত এক করে কাজ করে। দেশকে গড়তে খেয়ে না-খেয়ে বিদেশে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। এত বেকার লোক বা এত অলস লোক বাংলাদেশে নেই, যে তারা দেশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে সেভেন সিস্টার নিয়ে ভাববে বা দখল করতে যাবে।

ভারত এই জুজুর ভয় নিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেছে। একই সঙ্গে, যে কোনোভাবে তাকেই ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছে। শেখ হাসিনা এতটা চতুর-ধুরন্ধর মহিলা ছিলেন যে তিনি ভারতের রাজনীতিবিদদেরও ব্ল্যাকমেইল করেছেন। শেখ হাসিনার কূটকৌশলের ফাঁদে পড়ে তারাও বিশ্বাস করেছে যে শেখ হাসিনা না থাকলে সেভেন সিস্টার থাকবে না। একই সঙ্গে তার ফাঁদে পা দিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুরা যে বিপদে পড়েছে, তারা তা বুঝতেও পারেনি, বলে জানান তিনি।

আরবি/এস

Link copied!