ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে টাকা পাচার বন্ধ হবে’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ছবি- সংগৃহীত

পৃথিবীর প্রায় ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চলছে। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কেউ সম্পদ গড়তে পারবে না। এজন্য আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করতে হবে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে গণসমাবেশে এ কথা বলেন  তিনি।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, নিজের স্বার্থে, দলের স্বার্থে দেশকে অগ্রাধিকার না দিয়ে নিজের স্বার্থেই তৈরি করা হয়েছিল বাংলাদেশের সংবিধান। যার যখন মন চাইছে তখনই তারা ওই ভাবে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। কারণ এখানে একটা নীতি রয়েছে, এতো সিট তাদের থাকলে তাহলে সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে। সংবিধান যেন ইচ্ছা করলেই নিজ এবং দলের স্বার্থে তৈরি করতে না পারে। এখন কিন্তু সুযোগ এসেছে নির্বাচন যে পদ্ধতিতে ছিল তার পরিবর্তন করা। সেই পরিবর্তিত পদ্ধতি হলো পিআর সিস্টেমের নির্বাচন। 

তিনি  বলেন, আপনারা জানেন, যেই পদ্ধতিতে নির্বাচন চলছে এতে পয়ত্রিশ বা সর্বোচ্চ চল্লিশ শতকরা ভোট পেয়ে তারা কিন্তু সংবিধান পরিবর্তনের সেই সুযোগ পেয়েছিল। আর পিআর পদ্ধতি নির্বাচনে প্রতিটা ভোটারের মূল্যায়ন হবে এবং বারবার ইচ্ছা করলেই এই ফ্যাসিস্ট চরিত্র এককভাবে সংখ্যাঘরিষ্ঠ নিয়ে সংসদে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না। এই জন্যই এক শ্রেণি যারা নাকি বিভিন্ন সময় নিজেদের স্বার্থ, দলের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, দেশের স্বার্থকে ভুলুণ্ঠিত করেছে, তারা এই পিআর পদ্ধতি বোঝে না। তারা বলে পিআর পদ্ধতি খায় না মাথায় দেয়? আমরা বলব পিআর পদ্ধতি খায়ও না, মাথায়ও দেয় না। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে এই দেশ সুন্দর তৈরি হয়, মানবতার কল্যাণ হয়, মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন হয়।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেন, আমরা সবাইকে আহ্বান জানাব, আসেন আমরা যারা দেশকে ভালোবাসি, আমরা যারা ইসলামকে ভালোবাসি, আমরা যারা মানুষের কল্যাণ চাই আসেন আমরা সবাই একত্রিত হয়ে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। প্রয়োজনীয় সংস্কার হতে হবে এবং দৃশ্যমান এই খুনি জালেম টাকা পাচারকারিদের বিচার হতে হবে।

গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আমীর রুহুল আমিন, সহকারী সেক্রেটারি মাসুদ পারভেজ রাসেল, এনসিপির সদস্যসচিব আমির হোসেন সমির।