ঢাকা বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, যা গত অর্থ বছরে এ সময় ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এদিকে খেলাপি আদায়ে আইনের কঠোর প্রয়োগের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো খেলাপি ঋণ ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৭ দশমিক ০৯ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৯৪ কোটি টাকা বা ২৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।

এক বছর আগে, গত বছরের জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। সে বিবেচনায় এক বছরে বেড়েছে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৬ কোটি টাকা বা ১৫০ দশমিক ৯২ শতাংশ।

খেলাপি আদায়ে আইনের কঠোর প্রয়োগের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

অর্থনীতিবিদ এম কে মুজেরী বলেন, ‘পুঞ্জীভূত ঋণ যেটাকে কম করে দেখানো হয়েছে সেটার ফুল পিকচারটা পাওয়ার ফলে কতটা বেড়েছে আর এ সময়ে যে ঋণটা খেলাপি হয়েছে তার পরিমাণটা কত? তাহলে আমরা বুঝতে পারব খেলাপি ঋণের বিষয়ে আমাদের অগ্রগতিটা কত।’

তবে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে যে অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে তা এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছে। আবার ঋণ খেলাপি হওয়ার নিয়মের পরিবর্তনের কারণেও খেলাপি ঋণ বাড়ছে এবং সামনে তা আরও বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতার ফল হচ্ছে এই কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়া। আসলে কি তাই? বাস্তবে তা নয়। এটাই হওয়ার কথা ছিল, এতদিন আমরা এটাকে কেমোফ্লেজ করে লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখার চেষ্টা করেছি। এখন জনসম্মুখে সেটা তুলে ধরেছি। এই তুলে ধরার সৎ সাহসটা দেখাতে পেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এটাই গত এক বছরে বড় অ্যাচিভমেন্ট।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় দেশে খেলাপিঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা, ১৫ বছরে যা এখন ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি।