জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আনোয়ারা উপজেলার সমন্বয় কমিটিতে নেতৃত্ব ও পদ-পদবি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা কমিটির গঠনের পর যুগ্ম-সমন্বয়কারী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও পদ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী (দপ্তর) মো. নাঈম উদ্দীন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ঘোষণাটি প্রকাশের পর দলটিতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, গণমাধ্যমের বরাতে দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে দলের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে পদ স্থগিত করা হয়। দেলোয়ারকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক জুবায়ের আরিফকে জমা দিতে হবে।
আনোয়ারা উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী লায়ন মোহাম্মদ উল্লাহ মাহমুদ বলেন, ‘আমিসহ সকলের মতামতের ভিত্তিতে নোটিশটি দেওয়া হয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলার প্রতি অনুগত এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও নির্দেশনা অনুযায়ী নোটিশটি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কে নির্দেশনা দিয়েছে, তা বলা যায় না।’
আনোয়ারা উপজেলা এনসিপির যুগ্ম-সমন্বয়কারী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘আমার নামে প্রচারিত নোটিশটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসত্য ও ভুয়া। আমি জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক জুবায়ের আরিফ ভাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমার নাম ব্যবহার করে ছড়ানো কারণ দর্শানো নোটিশটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা কমিটি না থাকায় উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের নোটিশ দেওয়ার এখতিয়ার নেই। কেন্দ্রীয় অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত অবৈধ। সবাইকে অনুরোধ করছি, ভুয়া কাগজে বিভ্রান্ত না হয়ে সাংগঠনিক কাজে মনোযোগী হোন।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক জুবায়ের হাসান আরিফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।



