আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র আড়াই মাস বাকি। এরই মধ্যে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট বা প্ল্যাটফর্ম গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তবে যেসব দল এ জোট গঠনের চেষ্টা করছে, তাদের কারওই জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের উল্লেখযোগ্য ইতিহাস নেই বললেই চলে।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন দলের মধ্যে বিরোধ, সমন্বয় এবং নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার নানা খবর শোনা গেছে।
সম্প্রতি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েকটি দলের মধ্যে নতুন করে যোগাযোগ বাড়ার বিষয়টিও রাজনৈতিক পরিসরে আলোচিত হচ্ছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পরে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ঘিরে পুরোনো দলগুলোকেও নানা হিসাব-নিকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে মাঠে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে দলটি বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে- জোটবদ্ধ হওয়া, আসন ভাগাভাগির আলোচনা, একীভূতকরণের প্রস্তাব এবং নতুন অ্যালায়েন্স গড়ার উদ্যোগ।
দুই মাস আগেই খবর প্রকাশ হয়েছিল যে, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ নিজেদের মধ্যে একীভূত হওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছে। একইসঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও তাদের যোগাযোগের তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সাম্প্রতিক দিনে বেশ কয়েকটি ছোট ও উদীয়মান রাজনৈতিক দল নতুন একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের বিষয়ে একাধিক দফা বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে। এসব বৈঠকে জোটের কাঠামো, নেতৃত্ব, আসন বণ্টন ও নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কয়েকটি দলের নেতারা জানিয়েছেন, এই সপ্তাহের মধ্যেই নতুন জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হতে পারে। আগামী নির্বাচনে নতুন এই রাজনৈতিক অ্যালায়েন্স বাস্তবেই মাঠে সক্রিয় হবে কিনা, অথবা কেবল আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।


