প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক রহস্যময় পোস্ট দিয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ডরে আমার ভয় কাঁপতেছে!!’
তিনি কেন এ বক্তব্য লিখেছেন বা এর অন্তর্নিহিত অর্থ কী—এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে ওই পোস্ট ঘিরে নেটিজেনদের ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পোস্ট দেওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই এতে ১৫ হাজারের বেশি রিয়্যাক্ট জমা পড়ে।
মন্তব্যের ঘরে চলতে থাকে নানা মন্তব্য। কেউ কেউ প্রেস সচিবের আলোচিত সেই মাফলারের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। কে এম সজীব নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘মাফলার পেঁচিয়ে নেন, কাঁপাকাঁপি কমবে।’ সুইটি সাজিদা জানতে চেয়েছেন, ‘আপনার মাফলারটা কই?’
বেশ কয়েকজন মন্তব্যে গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়ে ভারতে অবস্থান নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ তোলেন। কেউ কেউ রসিকতা করে লিখেছেন, ‘আপা আসার আগে পালিয়ে যান।’
রিক রিদওয়ান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী দেশজুড়ে সাম্প্রতিক ভূমিকম্প আতঙ্কের প্রসঙ্গ টেনে লিখেছেন, ‘ডরে ভাই গোটা দেশই কাঁপছে—দেখেন না সব কেমনে নড়েচড়ে উঠল।’
প্রেস সচিবের রহস্যময় পোস্ট নিয়ে আলোচনা থামার আগেই তার পরবর্তী স্ট্যাটাস আসে আরও স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে। রাত ৮টা ২১ মিনিটে দেওয়া সেই পোস্টে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে লিখেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, অন্তর্বর্তী সরকার কি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে সহায়তা করছে।
তখন প্রেস সচিব জানান, সরকার বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠানোসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত তার পরিবারের সব অনুরোধ সুবিধাজনকভাবে পূরণ করা অব্যাহতরেখেছে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘সরকার দেশবাসীকে বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি মুক্তি পান। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং ১১৭ দিন চিকিৎসা শেষে ৬ মে দেশে ফেরেন। এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
দলের শীর্ষ নেতাদের তথ্য অনুযায়ী, খালেদা জিয়া গত ১৩ দিন ধরে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বিদেশ যাত্রার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে।
