ঢাকা শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা পাশে থাকব: রফিকুল ইসলাম

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিন ইস্যুতে সারা বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন যতদিন স্বাধীনতা অর্জন না করবে, আমরা তাদের পাশে থাকব। আমাদের লড়াই চলবে, আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা বহনকারী আন্তর্জাতিক নৌবহর আটকে দেওয়া এবং সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ শতাধিক মানবাধিকার কর্মীকে ইসরায়েলি বাহিনীর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘নিষ্ঠুর ইসরায়েলি সেনারা গাজায় একের পর এক গণহত্যা চালাচ্ছে। নারী, শিশু এবং সাধারণ মানুষ আজ তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। নৃশংসভাবে ত্রাণবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে শত শত অধিকারকর্মীকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের বিবেকবান মানুষ আজ এই অন্যায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিন ও গাজাকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরও কিছু শক্তিধর দেশ ইসরায়েলকে সমর্থন ও অস্ত্র দিয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে সহযোগিতা করছে। এই অনৈতিক সহায়তা মানবতার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শহীদদের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ফিলিস্তিন একদিন স্বাধীনতা অর্জন করবে, ইনশাআল্লাহ।’

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘অবিলম্বে ইসরায়েলকে দমন করুন, দখলকৃত অঞ্চলগুলো মুক্ত করুন এবং আটক হওয়া ত্রাণকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। বাংলাদেশ সরকারের নিন্দা ও মুক্তির দাবিকেও আমরা স্বাগত জানাই। যতদিন ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করবে না, ততদিন মুসলমানদের প্রতিবাদ, লড়াই ও সহানুভূতি অব্যাহত থাকবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেন। বক্তারা বলেন, ইসরায়েলের দমননীতি ও অবরোধ ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

সম্প্রতি স্পেন থেকে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইতালি ও গ্রিস হয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ৪০টির বেশি নৌযানে খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা বহন করা হচ্ছিল। এতে ৩৭টি দেশের চার শতাধিক অধিকারকর্মী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও সংসদ সদস্য অংশ নেন। এর মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।

কিন্তু ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায়, গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে ইসরায়েলি নৌবাহিনী তাদের বাধা দেয়। সেনারা কয়েকটি জাহাজে উঠে পড়ে এবং অধিকারকর্মীদের আটক করে। এ ঘটনাকে তুরস্ক ইসরায়েলের ‘জলদস্যুতা’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানায়।