বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ আবু মোহাম্মদ তাহের সরকারের চার থেকে পাঁচ জন উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে অভিযোগ করেছেন যে, তারা একটি বিশেষ দলের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের সব নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করছেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে মৎস্য ভবনের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এই বক্তব্য দেন।
তাহের বলেন, ‘নির্দলীয় সরকার পদে থাকলেও প্রকৃতপক্ষে একটি দল প্রশাসনকে নিজেদের দলে পরিণত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচনের পেছনে চলছে পাতানো ষড়যন্ত্র।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য প্রশাসনে এরইমধ্যে একটি দলীয় নকশা গড়ে তোলার কাজ চলছে যেখানে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে একটি দলের লোক বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।’
জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমরা কোনো হুঁশিয়ারি দিতে চাই না। এটাই আমাদের দাবি যে, প্রশাসনে চলমান এ ধরনের ষড়যন্ত্র দ্রুত বন্ধ করা হোক এবং সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হোক।’
তাহের জানান, যদিও তিনি সরকারের নাম প্রকাশ করতে চাননি। তবে দাবি তুলে নিয়ে তিনি বলেন, সরকারের কিছু উপদেষ্টা এই ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ত থাকলেও জনগণের স্বার্থে আমি তাদের নাম প্রকাশের বিষয়টি আপাতত নিরুৎসাহ করছি।
মানববন্ধনে তাহের দাবি করেন, ‘নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন একটি সার্বজনীন দাবি। সংস্কার এবং নির্বাচন একই বিষয় নয়। নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দেওয়া উচিত হবে। এটি শুধু একটি দল নয়, সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের দাবি। গণভোট হলে সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার পরীক্ষা খাত হবে।’
তাহের আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে বড়সড় অনিয়ম ঘটছে। এমন একদল নেতাকর্মী আছে যারা ক্ষমতায় না থেকেও এমন অবস্থানে রয়েছে যে তাদের পদত্যাগ চাইতে হচ্ছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘ক্ষমতায় না থাকলেও তারা এখন থেকেই নিজের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির হিড়িক রয়েছে।’
তিনি আশ্বাস দেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির সব ফাঁকফোকর বন্ধ করা হবে এবং কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হবে।’