বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে কাজ করবে বিএনপি: টুকু

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম

বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে কাজ করবে বিএনপি: টুকু

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

শেরপুরসহ সারাদেশে বন্যা পরবর্তী সময়ের মানু্ষেষে ক্ষতি বিবেচনায় পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছে বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির আহবায়ক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ হাসান টুকু।  মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরের শেরপুর জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসেবে বন্যা কবলিত এলাকায় কিভাবে ত্রাণ বিতরণ করছেন তা দেখার জন্য আমরা এসেছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা বন্যাকবলিত এলাকায় নগদ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছি।

বন্যাকবলিত এলাকায় পরবর্তী পুনর্বাসন নিয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, পানি থাকা পর্যন্ত যে আমরা ত্রাণ দিবো তা নয়। পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত মানু্‌ষের পাশে দাঁড়াবে বিএনপি। বিশেষ করে পাহাড়ি পানির ঢলে যাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গেছে বা পানি স্রোতে নিয়ে গেছে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।

কৃষকের ক্ষতিপূরণ নিয়ে তিনি বলেন, পানি নেমে গেলে রবি শশ্যর মৌসুম আসবে তখন বীজ, কৃষি পণ্য, ও সার বীজ বিতরণ করা হবে। যাতে বন্যায় ক্ষতি কৃষকরা ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে পারে।

ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। দেশের কোন মানুষকে ক্ষুদার্ত থাকতে হবেনা। আমাদের দল সবার পাশে থাকবে।  

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, শেরপুর জেলায় হঠাৎ করে পাহাড়ি ঢলে সাধারণ মানু্‌ষের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে পানিবন্ধি মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য এসেছি।

বন্যা-পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় আমরা তাদের পুনর্বাসন করা হবে। আমাদের এই ত্রাণ কার্যক্রম এই এলাকায় যতদিন প্রয়োজন ততদিন চলবে বলে জানান বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

বন্যা মোকাবেলায় বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শেরপুরের সমেশ্বর নদীতে বাধ নির্মাণ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একক রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করলে হবেনা। দেশে অনেক নদী আছে যেগুলো সেগুলো ভারতের হিমালয় পর্যন্ত আছে। উজান ভাটির পানির সঠিক হিস্যা না হলে গজল ঢঙ্গায় পানি বাড়লো তখন বাধ খুলে দিলো, তখন বাংলাদেশ ঢুবে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। নদীর যে শাসন ও প্রাকৃতিক ফ্লো আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী উজান ও ভাটির দেশে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে নদী খনন ও স্রোত নিয়ন্ত্রণ করা যাত তাহলে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।  

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, প্রধান বক্তা ছিলেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হজরত আলী।

আরবি/এস

Link copied!