দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন।
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দুই পা ভাঁজ অবস্থায় কারো সঙ্গে কথা বলার পূর্বে দশ বার এই দোয়াটি বলবে; তার আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হয়, দশটি গোনাহ মাফ করা হয় এবং দশগুণ মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।
ওই দিন সব রকমের বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে, শয়তানের ধোঁকা থেকে তাকে পাহারা দেওয়া হবে এবং ওই দিন শিরক ছাড়া অন্য কোনো গোনাহ তাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারবে না।
দোয়াটি হলো-
لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ামুতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
বাংলা অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই, সার্বভৌমত্ব তারই, সব প্রশংসা তারই জন্য, তিনিই জীবন ও মৃত্যু দান করেন আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। -সুনানে তিরমিজি
বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় পড়ার দোয়া
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় নিম্নে উল্লেখিত দোয়াটি বলবে, তার হেদায়েত এবং হেফাজতের ব্যবস্থা করা হবে। শয়তান তার থেকে দূরে চলে যাবে।
দোয়াটি হলো-
بِسْمِ اللّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّهِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّهِ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ
বাংলা অর্থ: আল্লাহর নামে বের হলাম এবং আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আল্লাহ ছাড়া অকল্যাণরোধ বা কল্যাণ হাসিল করার শক্তি কারো নেই। -তিরমিজি, আবু দাউদ ও নাসাই
ইমাম আবু দাউদ (রহ.) অন্য সূত্রে রেওয়ায়েত করেছেন এভাবে, শয়তান অন্য শয়তানকে বলে, তুমি এর ওপর কেমন করে নিয়ন্ত্রণ করবে যাকে হেদায়েত দান করা হয়েছে, যথেষ্ট দেওয়া হয়েছে এবং হেফাজতের ব্যবস্থা করা হয়েছে?
আপনার মতামত লিখুন :