বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

শ্রেণিকক্ষে তালা, বাইরে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দাবি আদায়ের আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। সেই সময় বাইরে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় ময়মনসিংহ নগরের শাঁখারীপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। এ সময় তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।

লাগাতার কর্মবিরতি ও বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের পর, তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে তৃতীয় দিনে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন ময়মনসিংহের অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ময়মনসিংহের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে এই কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে শিক্ষকদের।

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা মেহের জানান, ‘আমাদের বাংলা পরীক্ষা ছিল। কিন্তু ম্যাডামদের কর্মবিরতির কারণে পরীক্ষা হচ্ছে না। ক্লাসরুমেও তালা আছে, তাই বসে আছি। মা আসলেই বাসায় যাব।’

প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়ন্তী মনি জানান, ‘পরীক্ষা না হওয়ায় বসে রয়েছি। ম্যাডামরা ক্লাসে আসছে না। মা আমাকে রেখে বাসায় চলে গিয়েছে, তাই যেতে পারছি না।’

শাঁখারীপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল নাহার বলেন, ‘আমাদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতার অবসান, সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবিতে বাধ্য হয়ে শাটডাউন কর্মসূচি চালাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের কষ্ট দিতে চাই না। সরকার দাবি মেনে নিলে ক্লাসে ফিরব।’

নগরের সানকিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ‘সফল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই। আমরা আমাদের দাবিতে অনড়।’

গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সারমিন সুলতানা জানান, ‘সকালে আমরা প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। ছাত্ররা এসে স্কুল থেকে ঘুরে গেছে। তবে আমাদের দাবির ব্যাপারে সবাই সহমত।’

শাঁখারীপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিপি মনিকর বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করায় একা পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার হলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণ করা হবে।’

শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জানিয়ে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু ইউসুফ বলেন, ‘জেলার ২১৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষার্থী এবং ১৩ হাজার শিক্ষক রয়েছেন। আশা করছি, আগামীকাল থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। প্রাণ ফিরে পাবে প্রতিষ্ঠানগুলো।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!