বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম

ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে পঞ্চগড়, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ভোর থেকে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে, এবং শীত নিবারণের জন্য মানুষ আগুন পোহাচ্ছেন। হাড়কাপানো শীতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। সকালে শীতের পোশাক ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা কমে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সপ্তাহজুড়ে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে বিরাজ করছে। বুধবার সকাল ছয়টায় ১২.২ ডিগ্রি এবং সকাল নয়টায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পরিমাণও কমে গেছে; গতকাল সর্বোচ্চ ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি। এই মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি। প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়, এবং সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন, সন্ধ্যা ছয়টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় শীতের তীব্রতা। রাতভর টিপটিপ কুয়াশা ঝড়ে গাছপালা ও কৃষিজমি ভিজে যাচ্ছে।

তুলারডাঙ্গা এলাকার রিকশাচালক আইবুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ভোর থেকে ঘনকুয়াশা বিরাজ করছে, তবে বুধবার সবচেয়ে ঘন কুয়াশা এবং কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। রাতের বেলায় ল্যাপ তোশক ছাড়া ঘুমানো সম্ভব নয়।

পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকায় দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে, আর বাস টার্মিনালে নিম্ন আয়ের মানুষরা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন। সড়কের পাশে ঘাসের উপর কুয়াশা জমে ভিজে গেছে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে সূর্য উঠার পর কুয়াশা বিদায় নিয়েছে, তবে ঝলমলে রোদের তীব্রতা নেই। শীতের পোশাক ছাড়া বাইরে বের হওয়া যায় না।

বিগত বছরগুলোতে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রিতে নেমে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে গেছে। তাই এই জেলার মানুষ তীব্র শৈত্যে হাঁড়কাপানো ঠান্ডার সঙ্গে অভ্যস্ত। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে হেমন্তকালেই শীত আসে এবং দেরিতে শীত বিদায় নেয়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, সকালে ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক এবং কনকনে ঠান্ডা তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পুরোপুরি শীতের আমেজ বিরাজ করছে।

বরাবরই শীতের কাপড়ের অভাব রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে, তবে এখন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কম্বল বিতরণ শুরু হয়নি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!