বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধতা জানালেন সারজিস

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

সারজিস আলম। ছবি-সংগৃহীত

সারজিস আলম। ছবি-সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। 

শুক্রবার (২০ জুন)  নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য  জানান তিনি।

স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লিখেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম সীমাবদ্ধতা হলো- উপদেষ্টা পরিষদ থেকে শুরু করে উন্নয়ন বরাদ্দ। অনেক ক্ষেত্রে তারা একটি বিভাগের দিকে পক্ষপাতদুষ্ট।

এর আগে, এক স্ট্যাটাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের  ১৫০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। 

সেই স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লিখেন, খাইরুল বাকেরের নামে-বেনামে রয়েছে অত্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি!  স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি খাইরুল বাকের আনুমানিক ১৫০০ কোটি টাকার মালিক। নিকট আত্মীয় সিন্ডিকেট করে ৫ ভাই, ২ ছেলে ও স্ত্রী, জেবুন নাহারের নামে ঢাকা এবং নরসিংদীসহ রয়েছে অন্তত ১৩টা বাড়ি ও ৬০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ!

তিনি লিখেন, ৫ আগস্টের পূর্বে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে একাধিক পোস্ট ও কমেন্ট করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত ও প্রতিহত করার চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি এই খাইরুল বাকের।

সারজিস লিখেন, খাইরুল বাকের  ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তারা ৬ ভাই। তার বাবা মিন্নত আলী ছিলেন নৌকার মাঝি, তার বাবা খেয়া পারাপারসহ কুলির কাজ‌ও করেছেন। দিন এনে দিন খাওয়া এই খাইরুল বাকের ২০০১ সালে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন হিসাবে যোগদান করার পর থেকে যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পায়। এরপর থেকেই তার স্ত্রী ও পাঁচ ভাইদের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি হতে থাকে।

এনসিপির এই নেতা লিখেন, খাইরুল বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ৫ পার্সেন্ট কমিশনের বিনিময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুমোদন দিতেন।

সারজিস আলম লিখেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে খাইরুল বাকের ছিলেন, নরসিংদী বেলাবো- মনোহরদী উপজেলার আওয়ামী লীগের অর্থ দাতা। স্বৈরাচার সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে ছিল তার ঘনিষ্ঠতা। সাবেক এই মন্ত্রীর নির্বাচনি প্রচারে খাইরুল বাকের অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা দিয়ে সহযোগিতা করারও অভিযোগ ওঠে। খাইরুল বাকের বেলাবো ও মনোহরদী উপজেলার আওয়ামী লীগের অর্থ দাতা হিসেবেও বেশ পরিচিত। 

তিনি লিখন, ছাত্রজীবনে  খাইরুল বাকের চুয়েট (চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) শহীদ তারেক হুদা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে (চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

সারজিস  লিখেন, এই আওয়ামী দোসর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ৫ আগস্টের পরেও রয়েছে স্বপদে বহাল। এখন আবার ভোল পাল্টে অন্য দলের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে পদোন্নতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার ধান্দা করছে! এসব ডাকাতকে চেয়ারে বসিয়ে রেখে কীভাবে সংস্কার সম্ভব?

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!