দীর্ঘ ১১ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। রোববার (১ জুন) দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে দলটি। ম্যাচের নায়ক ছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার, যিনি ৪৬ বলে ৮৭ রানের টানা চাপের মধ্যে এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে ফাইনালের টিকিট এনে দেন।
শেষ ১৩ বলে পাঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। এমন সময় বল হাতে আসেন বাঁহাতি পেসার আশিনী কুমার। ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন আইয়ার। পরের বলটি নো হওয়ায় ফ্রি হিটে ফের ছক্কা। এরপর একে একে আরও দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ওভারের শেষ বলেই জয় নিশ্চিত করেন পাঞ্জাব অধিনায়ক।
এর আগে ২০৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাঞ্জাবের। প্রাভসিমরান সিং ৬ রানে আউট হন বোল্টের বলে। এরপর তিনে নেমে জশ ইংলিস বুমরাহকে ছক্কা-চারে আক্রমণাত্মক শুরু করলেও তিনি ফেরেন ২১ বলে ৩৮ রান করে। অন্য ওপেনার প্রিয়ানশ আরিয়াও ২০ রানে বিদায় নেন। তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় পাঞ্জাব।
সেখান থেকে দলের হাল ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার ও নেহাল ওয়াদেরা। দুজনে মিলে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। ওয়াদেরা ২৯ বলে ৪৮ রান করে ফিরলেও আইয়ার এগিয়ে যান পঞ্চাশ ছাড়িয়ে। এক ওভারে টপলিকে টানা তিন ছক্কা ও বোল্টকে ১৪ রান নেওয়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাঞ্জাব।
ম্যাচের শেষ দিকে স্টইনিসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ফিনিশিং দেন আইয়ার। পাঞ্জাব ১৯.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান করে পৌঁছে যায় ফাইনালে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ২০ ওভারে তোলে ২০৩ রান। তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব দুজনই করেন ৪৪ রান। বেয়ারস্টো করেন ২৪ বলে ৩৮, আর শেষদিকে নামান ধীর ১৭ বলে ঝোড়ো ৩৭ রান করে দলের স্কোর বাড়ান। পাঞ্জাবের হয়ে দুটি উইকেট নেন ওমরজাই। একটি করে উইকেট পান চাহাল, স্টইনিস, জেমিসন ও বিজয়কুমার বৈশাখ।
উল্লেখ, ২০১৪ সালের পর এবারই প্রথম ফাইনালে উঠেছে পাঞ্জাব কিংস। ১১ বছর পর তাদের সামনে শিরোপার সুযোগ। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।