ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের একমাত্র গোলে প্যারাগুয়েকে হারিয়েছে ব্রাজিল। এই জয়ের ফলে দুই রাউন্ড হাতে রেখেই ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে সেলেসাওরা।
বুধবার (১১ জুন) ঘরের মাঠে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটাকেই টার্গেট করেছিলেন কোচ আনচেলত্তি। এই ম্যাচে জিততে পারলে, অন্যদিকে উরুগুয়ের কাছে ভেনেজুয়েলা হেরে গেলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাবে ব্রাজিলিয়ানদের।
দিনের শুরুতে উরুগুয়ের বিপক্ষে ভেনেজুয়েলার হারে সুযোগ আসে ব্রাজিলের সামনে। প্যারাগুয়েকে হারিয়ে সেটা কাজে লাগাল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় দল হিসেবে নিশ্চিত করল ২০২৬ আসরে খেলা।
ঘরের মাঠে আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু করে ব্রাজিল। উইং দিয়ে ভীতি ছড়াতে থাকেন রাফিনিয়া। কার্ডের খাড়ায় একুয়েডরের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ছিলেন না তিনি। অষ্টম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের শট যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে।
চার মিনিট পর গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ভিনিসিউস। মাথেউস কুইয়ার চমৎকার ক্রসে কেবল ঠিকমতো পা ছোঁয়ানো প্রয়োজন ছিল তার। সেই কাজটা করতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
৩৫তম মিনিটে গোলের আরেকটা বড় সুযোগ হাতছাড়া করে স্বাগতিকরা। গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির ক্রসে খুব কাছ থেকে অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে হেড করেন কুইয়া।
মনে হচ্ছিল সমতায় শেষ হতে যাচ্ছে প্রথমার্ধ। কিন্তু ৪৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। তিনজনের চ্যালেঞ্জের মুখে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন রাফিনিয়া। ছুটে গিয়ে বল ধরে বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন কুইয়া। এবার প্রয়োজনীয় টোকা দিতে কোনো ভুল করেননি ভিনিসিউস।
আনচেলত্তি কোচ হওয়ার পর ব্রাজিলের এটাই প্রথম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। ব্রুনো গিমারাইসের শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন হুয়ান কাসেরেস।
পরের মিনিটে প্যারাগুয়ের আন্তোনিও সানাব্রিয়ার শট ব্যর্থ করে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন। লক্ষ্যে এটাই ছিল প্যারাগুয়ের একমাত্র শট।
৭৭তম মিনিটে রাফিনিয়ার বাঁ পায়ের গতিময় শট ফিরিয়ে দেন প্যারাগুয়ে গোলরক্ষক। ৮৯তম গিমারাইসের জোরাল শটও ব্যর্থ করে দেন তিনি।
১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত দুই নম্বরে আছে ব্রাজিল। ইকুয়েডরের সামনে সুযোগ আছে তাদের তিনে পাঠিয়ে দেওয়ার।