ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) শুরুটা ভালো না হলেও অবশেষে নিজের পুরোনো চেহারায় ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
অ্যান্টিগা অ্যান্ড বার্বুডা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে তিনি ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৪৪তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচসেরার পুরস্কার, যা তাকে এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ম্যাচসেরার পুরস্কারপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ম্যাচসেরার তালিকার সেরা পাঁচে উঠে এসেছেন সাকিব। তারকা অলরাউন্ডারের ওপরে আছেন ক্রিস গেইল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, কাইরন পোলার্ড ও অ্যালেক্স হেলস।
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৬০ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন এক সময়কার মারকুটে ব্যাটার গেইল। ৪৬৩ ম্যাচ খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার।
৪৮৬ ম্যাচে ৪৮ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ম্যাক্সওয়েল। দুইয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার।
৪৭ বার ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়ে তালিকার তিনে অবস্থান করছেন পোলার্ড। ৭১০ ম্যাচ খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক। চার নম্বর জায়গাটি হেলসের দখলে। ৫০৬ ম্যাচে ৪৫ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি।
সেন্ট কিটসের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিব ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। মাত্র ২ ওভারে ১১ রান খরচ করে তিনি ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন, যা প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়।
এর মধ্য দিয়েই তার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে মোট উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০২। এই ফরম্যাটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করা তিনি বিশ্বের মাত্র পঞ্চম বোলার।
ব্যাট হাতেও তার পারফরম্যান্স ছিল কার্যকর। দলের কঠিন মুহূর্তে ১৮ বলে ২৫ রানের এক কার্যকর ইনিংস খেলেন, যেখানে ১টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান।
তার এই ইনিংসের ওপর ভর করে অ্যান্টিগা ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে, যদিও হাতে মাত্র ২ বল বাকি ছিল।
ম্যাচ শেষে নিজের পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, দলের জয়ে অবদান রাখতে পারাটা দারুণ আনন্দের। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং আশা করি এটি ধরে রাখতে পারব। সামনে টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ সব ম্যাচ আসছে।
ক্রিকেটের বিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খেলা প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে। ১০ বছর আগের চেয়ে এখন অনেক দ্রুতগতিতে খেলা হয়, তাই উন্নতি করে যেতে হবে এবং মানসিকতা নিয়েও কাজ করতে হবে।
সিপিএল খেলতে সাকিবের সাথে তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির এবং তিন সন্তানও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এসেছেন। পরিবার নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার পরিবার সবসময়ই আমার সঙ্গে থাকে’।
তিন সন্তানকে নিয়ে চলা সহজ নয়, বিশেষ করে তাদের স্কুল থাকার কারণে। তবে এখন গ্রীষ্মের ছুটি চলছে, তাই তারা এখানে আছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের কাছাকাছি থাকাটা সবকিছুকে আরও স্বস্তিদায়ক করে তোলে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন